সবেমাত্র স্কুলে পা দিয়েছে। অথচ কি সুন্দর পরিষ্কার বাংলায় কথা বলছে। অবাক হওয়াটা এজন্যই যে, তার জন্ম অস্ট্রেলিয়ায়।
প্রিতমের দেখানো পথে খোঁজ মিলল বাংলাদেশ সোসাইটি ফর পূজা এন্ড কালচারাল (বিএসপিসি) সংগঠনের সাপ্তাহিক বাংলা স্কুলের। সিডনির ব্ল্যাকটাউন সাবার্বের মারাইয়ং সাউথ পাবলিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে এ স্কুল বসে প্রতি রবিবার।
পুরো সংবাদ দেখতে ওপরের ভিডিও লিংকে ক্লিক করুন
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নতুন প্রজন্মকে বাংলা ভাষা এবং সংস্কৃতির শিক্ষা দিয়ে আসছে বিএসপিসি।
জুনিয়র, সিনিয়র দুইটি গ্রুপে এ স্কুলে শিক্ষা নিচ্ছে প্রায় ত্রিশ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী। ক্লাস ফাইভের নিচের শিক্ষার্থীরা আছে জুনিয়র গ্রুপে।
জাতীয় ভাষা প্রতিযোগিতার কতটুকুই বা জানে তারা? না জানলে, জানানো। এমন বার্তা নিয়েই এসবিএস বাংলার পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় স্কুলের তত্ত্বাবধায়ক ডক্টর নারায়ণ দাসের সাথে। ফোনালাপে উষ্ণ আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আগেই। তার কাছ থেকেই তথ্য পৌঁছে যায় প্রিতমসহ স্কুলের সবার কাছে।
"দেশ ছেড়ে প্রবাসে আছি, তাই বলে নিজের ভাষা আর সংস্কৃতিতো ছেড়ে আসিনি। এখানে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্ম যেন তাদের শিকড় ভুলে না যায়, তার জন্যই এ স্কুল," বললেন নারায়ণ দাস।
"বাচ্চারা বাসা- বাড়িতে বাংলায় কথা বলে। কেউ কেউ লিখতে পারে আবার পড়তেও পারে। এটা যেমন আনন্দের তেমন প্রাপ্তিরও। এটাই আমাদের সফলতা।"
সিডনিতে অনুষ্ঠিত বেশীরভাগ কমিউনিটি অনুষ্ঠানেই অংশ নেয় এ স্কুলের শিক্ষার্থীরা। স্কুলে ভাষা শেখানোর পাশাপাশি বাংলা গান এবং নাচেরও তালিম দেয়া হয়।
দ্বিতীয় একটি ভাষা শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে 'জাতীয় ভাষা প্রতিযোগিতার' আয়োজন করে আসছে এসবিএস রেডিও। গত তিন বছর ধরে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছ নানা ভাষাভাষির শিক্ষার্থীরা। দু:খজনক হলেও সত্য, প্রতিযোগিতায় বাংলা ভাষা প্রতিযোগির সংখ্যা খুবই কম।
"স্কুলের পক্ষ থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে," জানালেন নারায়ণ।
এ বছরের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার শেষ তারিখ ১৮ নভেম্বর।