বাংলাদেশ কনসুলেট, সিডনি
বিনম্র শ্রদ্ধা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে সিডনিতে পালিত হয়েছে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম সিডনির বাংলাদেশ হাউজে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিতকরনের মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রমের সূচনা করেন। এরপর মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং বাংলাদেশের অব্যাহত শান্তি ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
সন্ধ্যায় নিউ সাউথ ওয়েলস স্টেটে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বক্তৃতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। কনস্যুলেট জেনারেলের নিজস্ব উদ্যোগে নির্মিত আরও একটি বিশেষ তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়, যেখানে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলা বই পড়াকে উৎসাহিত করা হয়।কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম তার বক্তব্যে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে ভাষা সৈনিকদের আত্মত্যাগ, ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী সকলের অবদান এবং এই আন্দোলনের সংগঠনে ও পরবর্তীতে রাষ্ট্রীয়ভাবে বাংলার প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান নিশ্চিতকরণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য ভূমিকা ও নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
Source: Consulate General of Bangladesh
এ বছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ছিল “বহুভাষিক শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ”।
সবশেষে ছিল কনস্যুলেটের “বাংলা শিক্ষা ও সংস্কৃতির পরিচয়” কার্যক্রমের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ও সিডনির শিল্পী-গোষ্ঠী প্রতীতীর পরিবেশনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বাংলাদেশের জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে মেলবোর্ন বাংলা স্কুল ও মেলবোর্ন বাংলাদেশী কমিউনিটি ফাউন্ডেশন। Source: Molla Mohammad Rashidul Huq
মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
যথাযথ ভাব-গাম্ভীর্য ও মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে মেলবোর্ন বাংলা স্কুল ও মেলবোর্ন বাংলাদেশী কমিউনিটি ফাউন্ডেশন।
২০ ফেব্রুয়ারি, রবিবার এই অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল অমর একুশে উপলক্ষে আয়োজিত শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এই অনুষ্ঠানে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মেলবোর্ন বাংলা স্কুলের অধ্যক্ষ ও মেলবোর্ন বাংলাদেশী কমিউনিটি ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোল্লা মো: রাশিদুল হক। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দেলনের পটভূমি তুলে ধরা ছাড়াও তিনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এরপর অমর একুশের ওপরে একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ভিক্টোরিয়া অঙ্গ-রাজ্যের মোরল্যান্ড সিটি কাউন্সিলের কাউন্সিলর স্যু বোল্টন। ব্যক্তি- ও সামাজিক-জীবনে মাতৃভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।
থাই ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক নামটিপ ম্যুর তার বক্তব্যে ভাষা প্রসারে ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলের অবদানের কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
বাংলাদেশী কমিউনিটির আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির বক্তৃতার পর ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণীর পর সবশেষে ছিল মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন।
ব্রিসবেনে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন , এম-এল-সি মুভমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল ও মাল্টিকালচারাল অস্ট্রেলিয়া। Source: Dr Jishu Das Gupta
ব্রিসবেন অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত
১৯ ফেব্রুয়ারি, শনিবার ব্রিসবেনে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন ইনক (ব্যাব)। তাদের সহযোগী আয়োজক ছিল এম-এল-সি মুভমেন্ট ইন্টারন্যাশনাল ইনক এবং মাল্টিকালচারাল অস্ট্রেলিয়া।
ব্রিসবেন সিটির ঐতিহাসিক রেডাক্লিফ প্লেসে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী প্রবাসীদের সঙ্গে যোগ দেন ব্রিসবেনের কয়েকজন এমপি, কাউন্সিলর-সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে ব্রিসবেনের বাংলা গানের স্কুল, সারগাম মিউজিক্যাল অ্যাকাডেমির শিশু-কিশোরেরা। এরপর অস্থায়ীভাবে স্থাপিত শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মূল আয়োজক ব্যাব, সকল অতিথি, ব্রিসবেনের বাংলাদেশী ডাক্তারদের সংগঠন এস-বি-ডি-কিউ, বাংলা স্কুল বি-বি-এল-এস, সারগম মিউজিক্যাল অ্যাকডেমি-সহ আরও নানা বাংলাদেশী সংগঠন।
এ সবের আগে ও পরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ওপর আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের অতিথিগণ। আর, পুরো আয়োজনটি সম্পন্ন হয় ব্রিসবেন সিটি কাউন্সিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: