এই ব্যতিক্রমধর্মী অনলাইন ঈদ আনন্দমেলার দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় চার ঘণ্টার কাছাকাছি। এরকম একটি আয়োজনের ভাবনাটা কিভাবে এলো, প্রশ্ন করেছিলাম এর অন্যতম উদ্যোক্তা জায়েদী সজীবের কাছে।
মিঃ জায়েদী বলেন, "করোনাভাইরাসের কারণে গত বৈশাখী মেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি, তখন অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নেই। সেসময় অনেকেই আমাদের উদ্যোগের প্রতি সমর্থন জানিয়ে অংশগ্রহণ করেন, এতে ভালো সাড়া পাই সব দিক থেকে। তখন আমাদের মনে হলো এটা একটা ভালো প্লাটফর্ম যেখানে অনেক মানুষের অংশগ্রহণ থাকবে। মেলবোর্নের বিশিষ্ট ফটোগ্রাফার সুবীর কুমার দাস এ উদ্যোগে আমার সাথে ছিলেন, এবং এই অনুষ্ঠানগুলো সফল করতে বেশ পরিশ্রম করেছেন।”“কিছু সীমাবদ্ধতা থাকার পরও সেই আকাঙ্খা থেকে আমরা এই ঈদে একইভাবে অনলাইনে 'ঈদ আনন্দ মেলার' আয়োজন করলাম।"
Participants in online Eid Anando Mela Source: Supplied
যারা যারা অংশ নিলেন-এ প্রসঙ্গে মিঃ জায়েদী বলেন, "এতে বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় থাকা বাংলাভাষী কমিউনিটির পেশাদার কিংবা সৌখিন শিল্পীরা তাদের অনলাইন কনটেন্ট রেকর্ড করে আমাদের পাঠিয়েছেন।"
"বাংলাদেশের প্রখ্যাত অভিনয় এবং সঙ্গীত শিল্পীরা এতে অংশগ্রহণ করেছেন যাদের মধ্যে আছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, আজিজুল হাকিম এবং তার পরিবার, শাফিন আহমেদ, চিরকুটের সুমী, জাহিদ হাসান, কাওসার আহমেদ চৌধুরীসহ আরো অনেকে।"
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী শিল্পীদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এখানে অনেক পরিবারই নিয়মিত সাংস্কৃতিক চর্চ্চা অব্যাহত রেখেছে, তারা অত্যন্ত উৎসাহের সাথে এতে অংশগ্রহণ করেছে। এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ এবং আনন্দের যে তাদের সবাইকে আমরা একত্রে পেয়েছি।"তিনি বলেন, "সব মিলিয়ে আমরা বিপুল সাড়া পেয়েছি দর্শকদের কাছ থেকে এবং এই সংখ্যাটি বাড়ছেই। এখানে উল্লেখ করতে চাই মেলবোর্নে বেশ কিছু পরিবার দীর্ঘদিন ধরে বাস করছেন এবং তারা এই বাংলা ভাষা-সংস্কৃতিকে ধরে রেখেছেন। তাদের মধ্যে আছেন, ডঃ শামস লোহানী, মুশফিকুর রহমান, ডঃ লুৎফুর রহমান, মাহবুব চৌধুরী, ডঃ আমিনুর রহমান, ডঃ শরীফ আস সাবের ও তাদের পরিবার। তারা আমাদের মেলবোর্নের বাংলাদেশী কমুউনিটির কান্ডারি। তারা বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা-সংস্কৃতি চর্চ্চাকে বিদেশের মাটিতে বিকশিত এবং অব্যাহত রাখতে অনেক কাজ করেছেন। সত্যিকার অর্থে তাদের ধারাবাহিকতায়ই আমরা এখন কাজ করছি।”
Jaedi Sajib Source: Supplied
"আমরা চেষ্টা করেছি নিজ কমুউনিটির প্রতি তাদের অবদানকে মনে রেখে তাদেরকেও এই অনলাইন আনন্দ মেলায় সংযুক্ত করতে।"
ভবিষ্যতে আর কি পরিকল্পনা আছে-এর জবাবে মিঃ জায়েদী সজীব বলেন, "দর্শকদের মন্তব্য এবং ফিডব্যাক থেকে আমরা এরকম আরো অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। অনেকেই বলেছেন আমরা প্রতি মাসেই এরকম একটা করে অনুষ্ঠান করতে পারি কিনা। এটা একটা বিরাট অনুপ্রেরণা এবং আমরা চিন্তা ভাবনা করছি এরকম বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসগুলোতে এধরনের অনুষ্ঠান করার।”
আরও পড়ুনঃ