নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মদিনে দুহাজার একুশের ভোটের মুখে কলকাতার রাজপথে হেঁটে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তীব্র ভাষায় নিশানা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা দাবি তুলেছেন, শুধু দিল্লিই কেন দেশের রাজধানী হবে? কলকাতাকেও ভারতের রাজধানী করা হোক। দেশের ৪ শহরকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে রাজধানী করা হোক।
"দক্ষিণ, পূর্ব, উত্তর, উত্তর-পূর্বে একটা করে রাজধানী করা হোক। সংসদের ৪ অধিবেশন ৪ জায়গায় করা উচিত।"
পাশাপাশি আরও একবার নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণার দাবিও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেছেন, আজ হোক বা কাল, নেতাজির জন্মদিন ‘জাতীয় ছুটি’ হিসেবে ঘোষণা করতেই হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি তুলেছেন নেতাজির ভাবনা অনুযায়ী জাতীয় প্ল্যানিং কমিশন ফিরিয়ে আনার। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর যুক্তি, আগে প্ল্যানিং কমিশনের বৈঠকে আমি অফিসারদের নিয়ে যেতাম, নিজেদের যা যা দাবি, সেসব বলতাম। এখন তা তুলে নীতি আয়োগ করা হয়েছে।
"এখন আর কেন্দ্র-রাজ্যের মধ্যে এভাবে কথা হয় না, হওয়ার অবকাশই নেই। তাই আবার প্ল্যানিং কমিশন ফিরিয়ে আনা হোক।"
প্রসঙ্গত, নেতাজির ১২৫ তম বর্ষে ইতিমধ্যে ,বাংলা প্ল্যানিং কমিশন তৈরির কাজে হাত দিয়েছে রাজ্য সরকার।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন,দেশে যোজনা কমিশন রেখে নীতি আয়োগ করা যেত। ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়ে সংসদ তৈরি করছে, যার এখনই কোনও প্রয়োজন ছিল না। অথচ, একবারও তো বলেনি আজাদ হিন্দ ফৌজ নিয়ে সৌধ করা উচিত।
"আমরা দেখিয়ে দেব কী করে করা যায়। নেতাজি জয়ন্তীকে 'পরাক্রম দিবস' হিসেবে কেন্দ্রীয় ঘোষণাকে আরও একবার কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, পরাক্রম দিবস কেন? পরাক্রম মানে কী,আমায় একবার জিজ্ঞেস করতে পারতেন। আচ্ছা, আমায় না হয় ছেড়ে দিন, কোন শব্দ ব্যবহার করা উচিত সেটা সুগত বসুদের জিজ্ঞাসা করতে পারতেন।"
তিনি আরো বলেন, আমরা এই দিনটি দেশনায়ক দিবস হিসেবে পালন করব।
এছাড়া মোদী সরকারকে বিঁধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এক নেতা, এক দেশ, এক দল, এর কী ভ্যালুয়েশন রয়েছে? এ কথার মানে কী? একতাই মূলমন্ত্র, তা আমরা মনে করি।
"নেতাজি কখনও বলেননি দেশকে টুকরো টুকরো করে দাও, ইতিহাস ভুলিয়ে দিলে চলবে না। নেতাজির নাম নিলে হৃদয়ে আবেগের জন্ম হয়। নেতাজিকে উপলব্ধি করতে হয়।"
ভোটের আগে কলকাতায় মোদীর সফর প্রসঙ্গে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এও বলেছেন, আমরা শুধু ভোটের বছর অনুষ্ঠান করি না। এ বছর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী, তাই বড় করে অনুষ্ঠান করা হয়েছে।
আরো দেখুন: