ট্রেজারি ডাটা থেকে দেখা যায় যে তারা সম্মিলিতভাবে জবকীপার স্কীমের আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের দশ ভাগের তিন ভাগ এবং তাদের মোট কর্মীর এক চতুর্থাংশ অর্থ ভর্তুকি পেয়েছে।
এতে আরও দেখা যায় যে ১৪০,১৩৮ টি কনস্ট্রাকশন কোম্পানির ৩৪৮,০৭৭ জন কর্মী গত জুনের জবকীপার স্কিমের জন্য যোগ্য ছিল।
এতে ১৩০,০৫২ টি প্রফেশনাল, টেকনিকাল এবং সাইন্টিফিক সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠানের ৩৯৬,৪২৪ জন কর্মী অর্থ ভর্তুকি গ্রহণ করেছে যা যে কোন একক সেক্টরে বৃহত্তম। এই সেক্টরগুলোতে কর্মহীন হয়ে পড়ার সংখ্যা প্রতি বিশজনে একজন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবারের ডাটা থেকে দেখা যায় যে মে মাসে হাউজিং খাতে লোন দেওয়া রেকর্ড পরিমানে কমে গেছে।
ধারণা করা হচ্ছে জবকীপার স্কিম শেষ হয়ে গেলে কনস্ট্রাকশন শিল্পে ব্যাপক ধ্বস নামবে এবং অনেক লোক কর্মহীন হয়ে পড়বে।
আর্টস এবং হসপিটালিটি খাত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এই স্কীমে তাদের মাত্র দশ ভাগ সুবিধা পেয়েছে। তাদের প্রতি আট জনে মাত্র একজন এই ভর্তুকি পেয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্স থেকে দেখা যায় যে গত মার্চ মাসে শুরু হওয়া এই সংকটে হসপিটালিটি সেক্টরে প্রতি দশজনে তিনজন এবং আর্টস সেক্টরে প্রায় এক চতুর্থাংশ কর্মী কাজ হারিয়েছেন।
এদিকে বিরোধী দল লেবারসহ বিভিন্ন মহল থেকে জবকীপার স্কিম পর্যালোচনা করার দাবি উঠেছে, কারণ এতে অনেক ক্যাজুয়াল ওয়ার্কাররা বাদ পড়েছেন।
লেবার দলের ছায়া ট্রেজারার জিম চ্যালমার্স এক টুইটার বার্তায় বলেছেন যে, স্কট মরিসনের উচিত জবকীপার স্কিম পর্যালোচনা করে মানুষদের অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দেয়া। তিনি বলেন, বৃহত্তর পরিকল্পনার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থানের লক্ষে সরকারকে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ