অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পাওয়ার বিষয়টি কোনো অধিকার নয়, এটি একটি সুবিধা।
১৯৪৯ সালে অস্ট্রেলিয়া নাগরিকত্ব প্রদান করা শুরু করার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫ মিলিয়নেরও বেশি লোক নাগরিকত্ব পেয়েছে। সে বছর ৩৫টি দেশ থেকে মাত্র ২ হাজার ৪৯৩ জনকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। আর, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ১৮০টিরও বেশি দেশ থেকে ৮০ হাজার ৬৪৯ জন নাগরিকত্ব পান।
নাগরিকত্ব পেলে অবধারিতভাবেই বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায়। তবে, এর পাশাপাশি অনেক দায়িত্বও পালন করতে হয়।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব লাভের জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন এই ।অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিক হওয়ার প্রক্রিয়ায় একটু সময় লাগে। প্রতিটি আবেদনপত্রই আলাদাভাবে বিবেচনা করা হয়।
Citizenship processing times can vary due to individual circumstances. Source: Department of Home Affairs
আবেদন করার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, আবেদনপত্র যেন যথাযথভাবে পূরণ করা হয়। এর সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। অতিরিক্ত তথ্য ও কাগজপত্র চাইলে তা যথাসময়ে জমা দিতে হবে। এ সব কাগজপত্র যাচাই করার জন্যও সময় লাগে। এ ছাড়া, আবেদনকারীর চরিত্র সম্পর্কেও খোঁজ করা হয়। বিভিন্ন এজেন্সি এ সব খোঁজ নিয়ে রিপোর্ট প্রদান করে। এর জন্যও সময় লাগে। তারপর রয়েছে নাগরিকত্ব অনুষ্ঠান যোগদানের সুযোগ লাভ এবং সনদ গ্রহণের বিষয়টি। এ জন্যও লম্বা লাইন লেগে যায়।
দ্বৈত নাগরিকত্ব
অস্ট্রেলিয়া বসবাসকারীদের একটি বড় অংশের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।
দ্বৈত নাগরিকরা অস্ট্রেলিয়ার বাইরে সীমিত কনসুলার সেবা লাভ করে থাকেন।
জন্মসূত্রে, বাবা-মায়ের দিক থেকে এবং বিয়ের মাধ্যমে ছাড়াও দ্বৈ নাগরিকত্ব লাভ করা যায়। দ্বৈত নাগরিকদেরকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ ও বহির্গমনের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট ব্যবহার করতে হয়। অস্ট্রেলিয়ার বাইরে তারা ভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারবেন।