গত ২৮, ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আহমদীয়া মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন অস্ট্রেলিয়ার যুব-সংগঠন খোদ্দামুল আহমদীয়ার বার্ষিক সম্মেলন।
ওয়েস্টার্ন সিডনির মার্সডেন পার্কে মসজিদ বাইতুল হুদা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত এই ধর্মীয় সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত যুবক যোগ দেন। তিন দিন ধরে তারা অংশ নেন বিভিন্ন তালিমী ও তরবীয়তি প্রতিযোগিতায় এবং ইনডোর ও আউটডোর খেলাধুলা প্রতিযোগিতায়।মজলিস খোদ্দামুল আহমদীয়া অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ওয়াকাস আহমদ বলেন,
National Youth President of Ahmadiyya Muslim Community Australia, Waqas Ahmed. Source: SBS
“দু’টি দল আছে। একটি দলে রয়েছে ৭ থেকে ১৫ বছর বয়সী সদস্যরা এবং অপরটিতে রয়েছে ১৫ থেকে ৪০ বছর বয়সীরা। তাই, ৪০ বছরে উপনীত হওয়া পর্যন্ত শক্তি-সামর্থ্য মানবসেবায় নিয়োজিত করাটাই উদ্দেশ্য।”
এই সম্মেলনে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠান। আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায় এতে মূলত জোর দেয় তাদের মটো “ভালবাসা সবার জন্য, কারও প্রতি ঘৃণা নয়” এর উপর।সম্মেলনে অংশ নেওয়া এক তরুণ, আতাউল হাদি বলেন,
Ata Ul Hadi Source: SBS
“এখানে বন্ধুত্বমূলক পরিবেশে নতুন বন্ধু বানানোর জন্য যা দরকার তা হলো, কাউকে সালাম দেওয়ায়। এভাবে যে বন্ধুত্বের সূচনা হয় তা জীবন-ব্যাপ অব্যাহত থাকে।”
মজলিস খোদ্দামুল আহমদীয়া অস্ট্রেলিয়ার এটি ৩৫তম ইজতেমা (সম্মেলন)। এ বছরের ইজতেমার থিম হলো ‘আত্ম-সংশোধন’। ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী আতাউল করিম গোহার বলেন, ‘আত্ম-সংশোধন’-এর বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
“আপনি যুবক হন কিংবা প্রবীণ হন, আপনি সবসময়েই নিজের দৈহিক এবং আধ্যাত্মিক উন্নয়ন ঘটাতে পারেন। তাই, এই ইজতেমা আমাদের দৈহিক এবং আধ্যাত্মিক প্রশিক্ষণের জন্য। আর এভাবেই আমরা আমাদের আধ্যাত্মিকতার পুনরুজ্জীবন ঘটাতে পারবো।”
ওয়াকাস আহমদ বলেন, তিনি আশা করেন এ বছরের ইজতেমা থেকে লোকেরা যা শিখবে তা তারা দুনিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারবে।
“ইসলাম শুধু মসজিদের মধ্যে বসে ইবাদত করার কথাই বলে না, মসজিদের বাইরে এবং সম্প্রদায়ের বাইরে মানুষের কল্যাণ সাধনের কথাও বলে ইসলাম।”
READ MORE
পিস সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হলো সিডনিতে