গত প্রায় ৬০ বছর ধরে অস্ট্রেলিয়া তার 'কলম্বো প্ল্যানের' অধীনে এই অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে। এই অঞ্চলে প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা আনয়নে জনগণ এবং প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং সহযোগিতার জন্য দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য অর্জনই অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডসের উদ্দেশ্য।
২০২১ সালের জন্য বাংলাদেশ থেকে যারা অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডসের জন্য আবেদন করবেন তাদের আবেদনের শেষ তারিখ ৩০শে এপ্রিল, ২০২০। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে তার সমৃদ্ধি, দারিদ্র দূরীকরণ, এবং অর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে উন্নয়ন সহায়তা দিয়ে থাকে।
শিক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থা, নীতিনির্ধারণ, আর্থিক ব্যবস্থাপনা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে, এটাই অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস প্রদানকারীদের প্রত্যাশা।
এজন্য আবেদনকারীদের ব্যক্তিগত এবং পেশাগত গুনাগুন, শিক্ষাগত সাফল্য দেখা হয়, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আবেদনকারী বাংলাদেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ অনুধাবন করতে পারার মত সম্ভাবনাময় কিনা সেটাও বিবেচনা করা হয়।
নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, এবং সংখ্যালঘুদের বিশেষভাবে আবেদন করতে উৎসাহ দেয়া হয়। যোগ্য নারী আবেদনকারীদের অন্তত পঞ্চাশ ভাগ স্কলারশিপ দেয়া হয়।
অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপের জন্য নির্বাচিতদের জন্য আছে নানা সুবিধা। এর মধ্যে রয়েছে বিমান ভাড়া, এককালিন স্টাব্লিশমেন্ট এলাউয়েন্স, সম্পূর্ণ টিউশন ফি, মাসিক ভাতা, হেলথ ইন্সুরেন্স, ফীল্ড ওয়ার্ক এলাউয়েন্স ইত্যাদি।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যারা আবেদন করবেন তাদের যোগ্যতার কিছু মানদণ্ড আছে। যেমন: ইংরেজিতে দক্ষতার জন্য আইইএলটিএসের সর্বনিম্ন স্কোর পুরুষদের ক্ষেত্রে ৬.৫ এবং নারীদের ক্ষেত্রে ৬।
তাছাড়া সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দু'বছরের কাজের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন।
আবেদনকারীদের চারটি গ্রূপে ভাগ করা হয়; প্রথম গ্রূপে আছে বাংলাদেশ সরকারের ক্যাডার অফিসার, সেন্ট্রাল ব্যাংক এবং জুডিশিয়াল অফিসার। দ্বিতীয় গ্রূপে বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিও কর্মকর্তা, তৃতীয় গ্রূপে রয়েছে ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা বা চাকুরীজীবি এবং চতুর্থ গ্রূপে আছে স্বাধীন শিক্ষাবিদ ও গবেষক এবং গণমাধ্যম ও সংস্কৃতিকর্মী।
তবে আবেদনের জন্য কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয় দেওয়া থাকে, শুধু সেসব বিষয়েই আবেদন করা যাবে নামে অনলাইন অ্যাপ্লিকেশন ফরমের মাধ্যমে।
মনে রাখতে হবে স্কলারশিপের এই আবেদন প্রক্রিয়া বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ। নির্বাচনের জন্য সাক্ষাৎকার দিতে হতে পারে, এবং পড়াশোনায় ভালো রেজাল্ট, বাংলাদেশের উন্নয়নে আপনার কি ভূমিকা থাকবে, কাজের অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বিষয় ভালোভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে আবেদনের সময়।
নির্বাচিতদের কোর্স কাউন্সেলিংসহ কিছু প্রিপারেটরি ট্রেনিং দেয়া হতে পারে।
আরো পড়ুন: