বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে মেলবোর্নের বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। ‘কোটা প্রটেস্ট মেলবোর্ন’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তারা গত ১৭ জুলাই, ২০২৪ বুধবার সকাল ১১টায় স্টেট লাইব্রেরি ভিক্টোরিয়া প্রাঙ্গনে এ নিয়ে একটি র্যালির আয়োজন করে।
‘স্টপ ভায়োলেন্স’-সহ নানা রকম প্রতিবাদ-সূচক প্লাকার্ড হাতে জড়ো হয় বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, ১৮ জুলাই, ২০২৪ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় মেলবোর্ন পার্লামেন্টের সামনে একটি ‘ডেমন্সট্রেশন’-এর ডাক দেয় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন। এতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ন্যায় বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়।
বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে মেলবোর্নের বাংলাদেশী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা। ‘কোটা প্রটেস্ট মেলবোর্ন’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তারা গত ১৭ জুলাই, ২০২৪ বুধবার সকাল ১১টায় স্টেট লাইব্রেরি ভিক্টোরিয়া প্রাঙ্গনে এ নিয়ে একটি র্যালির আয়োজন করে। Source: Supplied / Facebook/QUOTA PROTEST Melbourne
“কোটা নিয়ে যেই আন্দোলনটা এটা আমরা সম্পূর্ণরূপে একমত। বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রী যে-ই দাবিটা করছে তাদের দাবিটা একেবারেই ন্যায্য দাবি। এবং আমরা তাদের সাথে সহমত পোষণ করছি অস্ট্রেলিয়া থেকে। আমরা চাই বাংলাদেশের কোটা প্রথাটাই না থাকুক। এটা বিলুপ্ত করা হোক।”
তবে, প্রতিবন্ধীদের জন্য কোটা রাখার প্রতি জোর দেন তিনি।
“শুধুমাত্র যাদের জেনুইন নিড রয়েছে কোটা পাওয়ার ক্ষেত্রে, আমি পার্সোনালি মনে করি, আমি বলবো, যারা শারীরিকভাবে সক্ষম নয়, তাদের আসলে একটা কোটা তাদের রাইট, তাদের জন্য একটা কোটা রাখা।”
১৬ জুলাই, মঙ্গলবার সকালে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা বেড়িয়ে এসে সড়ক অবরোধ শুরু করে। অনেক স্থানে ছাত্রলীগ ও পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
বিভিন্ন সহিংস ঘটনায় মৃত্যুর বিষয়টি মানতে পারছেন না কায়েস মাহমুদ।
“কেউ যদি প্রটেস্ট করে দ্যাট ডাজ নট মিন তাদেরকে গিয়ে হত্যা করতে হবে। এটা একদমই অমানবিক এবং সারা বিশ্বে এটা বিরল। প্রটেস্ট করতেছে দাবির জন্য, তারা তো কাউকে হার্ম করে নি।”
সিডনি-প্রবাসী কলামিস্ট অজয় দাশগুপ্ত বলেন, অগ্নি-সংযোগ, নাশকতার পাশাপাশি প্রাণহানি, কোনোটাই সমর্থনযোগ্য নয়।
“এ সমস্ত সাধারণ শিক্ষার্থী কিংবা যে-কোনো দলেরই হোক না কেন, পরস্পর মুখোমুখী হওয়া এবং যে-সমস্ত ঘটনা আমরা টিভিতে বা বিভিন্ন মিডিয়ায় দেখতে পাচ্ছি, অগ্নি-সংযোগ, নাশকতার পাশাপাশি প্রাণহানি, কোনোটাই সমর্থনযোগ্য নয়।”
পরিস্থিতির উত্তরণে সরকারের ভূমিকা পালন করতে হবে, বলেন তিনি।
“এটা অত্যন্ত উদ্বিগ্নতার বিষয়। যেভাবেই হোক এই পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এটা থেকে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত কোনো মানুষই আসলে ঠিকভাবে রাতে ঘুমুতে পারবেন বলে আমার মনে হয় না।”
“এটার সমাধান কোথায় সেটা কিন্তু নিশ্চিত করতে হবে সরকারকে।”
অজয় দাশগুপ্ত আরও বলেন, এটা শুধু কোটা-বিরোধী আন্দোলনের ফল নয়।
“এবং, আমি যেটা বিশেষ করে এক লাইনে বলতে চাই যে, এটি কেবলমাত্র কোটা-বিরোধী আন্দোলনের পরিবর্তে পুঞ্জিভূত পাপ ও ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে বলে আমার মনে হয়েছে। যেটা, সত্যিকার অর্থে যদি নিরসণ করা না যায়, ভবিষ্যতে আমাদের জন্য অশুভ ইঙ্গিত বয়ে আনতে বাধ্য হবে।”
“আমরা সবার উপর আমাদের দেশকে ভালবাসি, মুক্তিযুদ্ধে এই অর্জিত দেশের সকল মানুষ, সকল সন্তানের সমান অধিকার নিশ্চিত হোক।”
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
আপনি কি জানেন, এসবিএস বাংলা অনুষ্ঠান এখন ইউটিউব এবং পাওয়া যাচ্ছে। হ্যাঁ, আমরা আমাদের প্লাটফর্ম বিস্তৃত করছি। এসবিএস সাউথ এশিয়ান, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত দক্ষিণ এশীয় সকল জনগোষ্ঠীর জন্য।
এসবিএস বাংলা টিউন করুন এসবিএস অন ডিমান্ডে সোম ও বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায়। দক্ষিণ এশীয় অন্যান্য ভাষায় সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো সরাসরি শুনতেও অন ডিমান্ডে টিউন করুন।
এসবিএস বাংলা লাইভ শুনুনএসবিএস সাউথ এশিয়ান-এ, ডিজিটাল রেডিওতে, কিংবা, আপনার টেলিভিশনের ৩০৫ নম্বর চ্যানেলে। এছাড়া, এসবিএস অডিও অ্যাপ-এ কিংবা আমাদের ওয়েবসাইটে। ভিজিট করুন .
আর, এসবিএস বাংলার এবং ইউটিউবেও পাবেন। ইউটিউবে সাবসক্রাইব করুন চ্যানেল। উপভোগ করুন দক্ষিণ এশীয় ১০টি ভাষায় নানা অনুষ্ঠান। আরও রয়েছে ইংরেজি ভাষায় এসবিএস স্পাইস।