৫ বছর বয়সে সাউথ আফ্রিকার বর্ণ-বৈষম্য থেকে পালিয়ে আসেন জহির ইদ্রিস। তখন তিনি স্বপ্ন দেখেছেন, নতুন দেশটিতে সম-অধিকার থাকবে।
কিন্তু, ৯/১১ বা ১১ সেপ্টেম্বরের পরবর্তী বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করাটা তার ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যের জন্য কঠিন ছিল।
মিস্টার ইদ্রিস বলেন, তিনি যতোই বড় হচ্ছিলেন এবং কর্মক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, ততোই তিনি বৈষম্যের অভিজ্ঞতা লাভ করছিলেন।
জহির ইদ্রিস বলেন, বৈষম্য এতোটাই বেড়ে যায় যে, তিনি তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
“শেয়ারিং দ্য এক্সপেরিয়েন্সেস অফ অস্ট্রেলিয়ান মুসলিমস” নামের নতুন একটি রিপোর্টে দেখা যায়, ইদ্রিস একাই নন, তার মতো আরও অনেকেই রয়েছেন।
এই রিপোর্টতে বলা হয়েছে, ১০১৭ জন অংশগ্রহণকারীর ওপরে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি অংশগ্রহণকারী কোনো না কোনোভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
৫০ শতাংশ বলেছেন, এসব অভিজ্ঞতা হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে ডিল করার সময়ে।
৪৮ শতাংশ বলেন, কর্মক্ষেত্রে এবং কর্ম-সংস্থানের ক্ষেত্রে তারা লক্ষ্য-বস্তুতে পরিণত হয়েছেন। আর, ২৯ শতাংশ বলেছে, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানগুলোতে তারা কোনোভাবে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
ইসলাম ফোবিয়া রেজিস্টার-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বৈষম্য-বিরোধী আন্দোলনের কর্মী মরিয়ম বলেন, তিনিও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
রিপোর্টটিতে আরও উঠে এসেছে, অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি চার জন মুসলমানের মধ্যে এক জন তাদের নিজেদের কিংবা পরিচিত কারও বৈষম্যের শিকার হওয়ার কথা বলতে ভয় পান।
আর, সম্ভবত এর চেয়েও বেশি উদ্বেগের বিষয় সম্পর্কে মরিয়ম বলেন, যারা এসব বিষয়ে কথা বলে, তারা বলে যে, এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সহায়তা পাওয়া যায় না।
এই রিপোর্টটিতে দেওয়া সুপারিশগুলোর একটিতে ফেডারাল সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে একটি অ্যান্টি-রেসিজম ফ্রেমওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার জন্য।
ফেডারাল সরকারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে এসবিএস। কিন্তু, এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাওয়া যায় নি।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।