সাইবার হামলার ফলে ব্যাপক তথ্য-চুরির ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে অপটাস

OPTUS STOCK

Optus customers' private information could be compromised after a cyber attack hit the phone and internet provider. Source: AAP / BIANCA DE MARCHI/AAPIMAGE

অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ সংস্থা Optus-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একটি ব্যাপক তথ্য-চুরি বা ডাটা ব্রিচ-এর ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এই ঘটনায় প্রায় ১০ মিলিয়ন গ্রাহকের সংরক্ষিত তথ্য হুমকির মুখে পড়েছে। অপটাস এখন ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। গত বৃহস্পতিবার তাদের ওয়েবসাইটে তথ্য-চুরির এই ঘটনা সম্পর্কে ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।


টেলিযোগাযোগ সংস্থা অপটাস নিশ্চিত করেছে যে তাদের অনেক গ্রাহকের তথ্য চুরি হয়েছে এবং তারা এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

অপটাস বলছে, তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাইবার হামলা বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয়েছে এবং অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল পুলিশকে সাথে সাথেই অবহিত করেছে।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেলি বায়ার রোজমেরিন বলেছেন, তিনি হতাশ এবং দুঃখিত।

তিনি এই হামলাকে অত্যাধুনিক হিসাবে বর্ণনা করেছেন, তবে এর সম্পূর্ণ বিবরণ এখনই প্রকাশ করতে চাননি।

সংস্থাটি বলেছে যে এটি প্রথমে কিছু সন্দেহজনক ক্রিয়াকলাপের কারণে সাইবার হামলার বিষয়ে জানতে পেরেছিল, তবে তারা সরাসরি গ্রাহকদের না জানিয়ে সংবাদটি অনলাইনে প্রকাশ করে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মার্লেস বলেছেন, কোম্পানিটির জন্য এটি একটি কঠিন সময়।

সাইবার নিরাপত্তা মন্ত্রী ক্লেয়ার ও'নিলের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রয়োজন অনুযায়ী প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে এবং অস্ট্রেলিয়ানদের অনলাইন হুমকি থেকে নিজেদের সুরক্ষা আরও জোরদার করতে হবে।

কিন্তু বিরোধী দল দাবি করছে, সরকারকে অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হবে।

লিবারেল পার্টির নেতা পিটার ডাটন বলেছেন, এটি সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় তথ্য-চুরির ঘটনা।

এই হামলার ফলে ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় সব গ্রাহকের তথ্য হুমকির মুখে পড়েছে।

তথ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রাহকদের নাম, জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর এবং ইমেইল ঠিকানা।

কিছু গ্রাহকের বাড়ির ঠিকানা, সেইসাথে লাইসেন্স এবং পাসপোর্ট নম্বরের মতো সংবেদনশীল তথ্যও এই ডাটাবেজে সংরক্ষিত ছিল।

তবে অপটাস জানিয়েছে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড এবং পেমেন্ট ডিটেইলস এর বিবরণের তথ্য চুরি হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশনের ডেলিয়া রিকার্ড বলেছেন, ব্যাংক লেনদেন সম্পন্ন করার সময় গ্রাহকরা অতিরিক্ত ভেরিফিকেশনের মতো নিরাপদ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন।

পিডব্লিউসির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রব ডি পিয়েট্রো বলেছেন, ধারণা করা হচ্ছে যে প্রায় দশ মিলিয়ন গ্রাহকের তথ্য ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কালোবাজারে (অবৈধভাবে) গ্রাহকদের পরিচয়ের তথ্য বিক্রি করা হতে পারে।

গ্রাহকদের অনুরোধ করা হচ্ছে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোনও সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক আদানপ্রদান হচ্ছে কিনা সেদিকে চোখ রাখতে এবং ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন সম্পর্কিত যে কোনও নোটিফিকেশান ভাল করে পর্যবেক্ষণ করতে।

সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ার বাটনে ক্লিক করুন।

এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: 

আমাদেরকে অনুসরণ করুন 

Share