জন-সমাগম নিষেধাজ্ঞা ১০ জন থেকে নামিয়ে দু’জনে

Minister for Health Greg Hunt and Prime Minister Scott Morrison announce the government's $1.1bn health and family violence package at a press conference at Parliament House in Canberra, Sunday, March 29, 2020. (AAP Image/Mick Tsikas) NO ARCHIVING

Minister for Health Greg Hunt and Prime Minister Scott Morrison Source: AAP

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। এখন থেকে জন-সমাগম নিষেধাজ্ঞা ১০ জন থেকে দু’জনে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ন্যাশনাল কেবিনেট।এদিকে, ৭০ বছরের বেশি বয়সীদেরকে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আর, যারা বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না তাদেরকে ছয় মাসের মধ্যে উচ্ছেদ করতে পারবে না বাড়িওয়ালা। সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। করোনাভাইরাস ও রাজনীতি নিয়ে প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।


অস্ট্রেলিয়ায় প্রতিদিন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার হার এখন কমে গেছে, এখন প্রায় ৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য কর্তৃপক্ষ খুশি।
তবে, এটা যথেষ্ট নয়। জন-সমাগম কমাতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে ন্যাশনাল কেবিনেট।সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, একসাথে ১০ ব্যক্তি জমায়েত হতে পারেন। এ সংখ্যা এখন অনেক কমিয়ে আনা হচ্ছে।রবিবার রাতে প্রধানমন্ত্রী সেল্ফ-আইসোলেশন সম্পর্কিত নতুন আরও নির্দেশনা প্রদান করেন।সত্তরোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরকে ঘরের বাইরে যেতে নিষেধ করেন তিনি। এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদেরকে এবং দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনডিজেনাস (স্থানীয়) অস্ট্রেলিয়ানদেরকে ‘বাস্তবিকভাবে যতোটা সম্ভব’ ঘরের বাইরে যেতে নিরুৎসাহিত করেন তিনি।সাধারণ ব্যক্তিদেরকেও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর ছেড়ে বাইরে যেতে নিষেধ করেন তিনি।

চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর ব্রেন্ডান মারফি বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার কমাতে এসব নতুন পদক্ষেপের দরকার আছে। বাড়ি ভাড়া পরিশোধে ব্যর্থ হলে যেন আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাউকে উচ্ছেদ করা না হয় সেজন্য উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
কোভিড-১৯ এর প্রকোপ কমাতে কয়েক মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ানকে ঘরে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। বিচ্ছিন্ন ও অসহায় ব্যক্তিদের জরুরি স্বাস্থ্য-সেবা না পাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

এর আগে সরকার টেলিহেলথ সার্ভিসের জন্য ৬৬৯ মিলিয়ন ডলারের মেডিকেয়ার ভর্তুকির ঘোষণা করেছিল।
ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার প্রফেসর মাইকেল কিড বলেন, জিপিরা কীভাবে রোগীদের স্বাস্থ্য-সেবা দেন সে বিষয়ে শেষ দু’সপ্তাহে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখেছেন তিনি।সাম্প্রতিক পরিবর্তনের আওতায় পুরো জনগোষ্ঠী টেলিহেলথ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

এর মাধ্যমে রোগীরা তাদের জিপির সঙ্গে টেলিফোনে কিংবা ভিডিও কনফারেন্স কল, যেমন স্কাই-পে কিংবা ফেসটাইমের মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারবেন।টেলিহেলথ কেয়ারের জন্য মেডিকেয়ার ভর্তুকি হলো ১.১ বিলিয়ন ডলারের রিলিফ প্যাকেজ। এর মধ্যে রয়েছে ১৫০ মিলিয়ন ডলারের ডমেস্টিক অ্যান্ড সেক্সুয়াল ভায়োলেন্স সার্ভিসেস। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, এই সময়টিতে অ্যাবিউজ কেসের সংখ্যা বাড়বে। লকডাউনের সময়ে চীনেও সহিংসতার ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছিল।

ন্যাশনাল মেন্টাল হেলথ কমিশনের চিফ একজিকিউটিভ ক্রিস্টিন মর্গান বলেন, এ রকম বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে, এমন কি সোশাল ডিস্টেন্স বজায় রাখার সময়েও, অস্ট্রেলিয়ানদেরকে সহায়তা করাটা গুরুত্বপূর্ণ।মেন্টাল হেলথ সাপোর্ট সার্ভিস বিয়ন্ড ব্লু-কে ১০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হবে। তারা করোনাভাইরাস ওয়েলবিয়িং সাপোর্ট লাইন প্রতিষ্ঠা করবে। আর, টেলিফোন সার্ভিস লাইফলাইন এবং কিডস হেল্পলাইন পাবে ১৪ মিলিয়ন ডলার সহায়তা।

অর্থনৈতিক খাতে, যে-সব কোম্পানি তাদের কর্মী-ছাঁটাই করে নি, তাদেরকে বেতন প্রদানের ক্ষেত্রে ভর্তুকি-সেবা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে সরকার।ব্যবসাগুলো দীর্ঘ-মেয়াদে টিকে থাকার লক্ষ্যে এখন যেন এগুলো সাময়িকভাবে হাইবারনেশন বা শীতনিদ্রায় যায়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী যে ব্যাপক কৌশল গ্রহণ করছেন, এটি তার অংশ।স্কট মরিসন বলেন, পরবর্তীতে যে সহায়তার উদ্যোগ ঘোষণা করা হবে, তা অনেক বড় হবে।

বিরোধী দলের ওয়ার্কপ্লেস বিষয়ক মুখপাত্র টনি বার্ক বলেন, সরকারের উচিত এ নিয়ে কাজ করা।

Sbs.com.au/coronavirus এ আপনার ভাষায় করোনাভাইরাস আপডেট জানুন ।


Share