ইসরায়েলে নতুন জোট সরকার গঠনে বিরোধী দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এটি সফল হলে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর টানা ১২ বছরের শাসনামলের অবসান ঘটবে। ইসরায়েলে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকার রেকর্ড তার। সেই বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এখন ক্ষমতা হারানোর প্রহর গুণছেন।
তবে, তার লিকুদ দলের সমর্থকেরা এটা মানতে পারছেন না।
অন্যরা অবশ্য এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বিগত মাত্র দু’বছর সময়কালে ইসরায়েলে চার বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রতিবারই মিস্টার নেতানিয়াহু তার ক্ষমতা ধরে রাখতে সমর্থ হন।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
বিক্ষোভকারী মারিয়ানা সিমানোভিক আশা প্রকাশ করেন যে, এই নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে একটি ঝঞ্ঝাপূর্ণ যুগের অবসান ঘটবে।
কোয়ালিশন গঠিত হয়েছে মধ্যপন্থী, ডানপন্থী, বামপন্থী মিলিয়ে নানা মত ও পথের বিরোধী দলগুলোর দ্বারা। তারা সবাই একত্রিত হয়ে ইসরায়েলের রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
নির্ধারিত সময়-সীমার মাত্র ৩৮ মিনিট আগে বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার লাপিড প্রেসিডেন্টকে টেলিফোন করে বলেন যে, তারা একটি চুক্তিতে উপনীত হতে পেরেছেন।
লেবার পার্টির নেতা মেরাভ মিকায়েলি বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক ফলাফল।
এই চুক্তি অনুসারে তার নতুন কট্টর ডানপন্থী কোয়ালিশন পার্টনার নাফতালি বেনেট প্রথম দু’বছর প্রধানমন্ত্রিত্ব করবেন। এরপর, মিস্টার লাপিড প্রধানমন্ত্রী হবেন।
তবে, এখনও একটুখানি পথ বাকি রয়েছে। তাদেরকে সংসদে আস্থা ভোটে বিজয়ী হতে হবে।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একজন বিবাদ সৃষ্টিকারী হতে পারেন, তবে তিনি একজন সার্ভাইভার।
নেতানিয়াহু জানেন যে, সংসদ সদস্যরা এ রকম একটি বেয়াড়া রকমের কোয়ালিশনের সফলতা নিয়ে স্বস্তিবোধ করবেন না।
নেতানিয়াহুর একজন সমর্থক ডেভিড ইয়াকভ এ বিষয়ে একমত।
আর, আমেরিকান ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইসরায়েল স্টাডিজ-এর ড্যান আরলে বলেন, মিস্টার নেতানিয়াহুর হাতে এখনও বিভিন্ন বিকল্প উপায় রয়েছে।
কোয়ালিশনের অনুমোদনের জন্য এ সপ্তাহে ভোট অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।