- সিনেটের জন্যে ভোটের দিন সাদা ব্যালট পেপার ব্যবহার করতে হবে
- লাইনের উপরের বক্সে পার্টি বা দলের জন্যে ভোট দেয়া যাবে
- দলের বদলে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে চাইলে লাইনের নিচের বক্স পূরণ করতে হবে
আসন্ন মে মাসের তৃতীয় শনিবারে অস্ট্রেলীয়রা তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রতিটি স্টেট ও টেরিটরির প্রতিনিধি হিসেবে ৭৬ জন সিনেটরকে বেছে নিবে।
এই বছর অর্ধেক সিনেটের জন্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতের নতুন আইন প্রণয়নের ব্যাপারে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন, পর্যালোচনা ও ভোট দেয়ার জন্যে যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করা হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সিনেট-কে হাউজ অব রিভিউ অথবা স্টেট’স হাউজও বলা হয়ে থাকে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
প্রতিটি স্টেট থেকে ১২ জন করে সিনেটর নির্বাচন করা হয়। আর অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি এবং নর্দার্ন টেরিটরি প্রতিটিই দুইজন করে সিনেটর নির্বাচন করে।
অস্ট্রেলিয়ান নির্বাচন কমিশনের ইভান ইকিন স্মিথ এই নির্বাচনের ধাপগুলো ব্যাখ্যা করেছেন।
তিনি বলেছেন, সিনেটের জন্যে নির্ধারিত সাদা ব্যালট পেপারে ভোটারদের নিজেদের প্রথম পছন্দের দলের পাশে ‘এক’ লিখে ভোট দিতে হয়। এভাবে ‘এক’ থেকে ‘ছয়’ নম্বর পর্যন্ত লিখে ছয়টি পছন্দের রাজনৈতিক দলকে ভোট দেয়া যায়।
ভোটাররা ব্যালট পেপারে মাঝের লাইনের উপরিভাগে এভাবে দল পছন্দ করে ভোট দিতে পারে। আর যদি নির্দিষ্ট কোনও প্রার্থীকে ভোট দিতে চায় সে ক্ষেত্রে লাইনের নিচে কমপক্ষে ১২টি ঘরে ভোট দিতে হবে।
লা ট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রিসার্চ ফেলো ইয়ান টুলওক এই বছরের নির্বাচনকে ‘অর্ধেক সিনেট নির্বাচন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
সকল স্টেটের সিনেটররা সাধারণত ছয় বছরের জন্যে নির্বাচিত হন, কিন্তু একই সাথে তাঁদের অর্ধেকের মেয়াদ থাকে তিন বছর।
আর টেরিটরিগুলোর সব সিনেটরদের মেয়াদই হয় তিন বছর।
ভোটারদের অবশ্যই সচেতন থাকা উচিৎ যে ব্যালট পেপারে লাইনের উপরে দেয়া ভোটগুলো যোগ হয় রাজনৈতিক দলের খাতে, কোনও প্রার্থীর খাতে নয়।
আর সিনেট নির্বাচনের ফলাফল জানতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যায় কারণ নির্বাচনের ভোট সম্পূর্ণ গণনা সম্পন্ন হতে অনেক সময় লাগে, এবং তারপরেই কেবল সিনেটরদের সম্পূর্ণ তালিকা ঘোষণা করা হয়।
ইয়ান টুলওক বলেন, রাজনীতিতে সিনেট খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত।
আরও দেখুন:
২১ মে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারাল নির্বাচন