ই-সেফটি কমিশনার জুলি ইনমান গ্রান্ট বলেন, প্রযুক্তির অনেক সুবিধা থাকলেও এর নেতিবাচক অভিজ্ঞতাও কম নয়।
এখানে ইমেজ-বেসড এবিউজ বলতে কারো ঘনিষ্ঠ ছবি তার অনুমতি না নিয়ে অনলাইনে শেয়ার করা বোঝানো হয়েছে।
অনলাইনের এমন বিষয় গুলো অনেক বাবা-মাই বুঝতে পারেন না।
এছাড়াও বাবা-মায়েরা উদ্বিগ্ন থাকেন যখন তাদের সন্তানদের সাথে অনলাইনে অপরিচিত লোকেরা যোগাযোগের চেষ্টা করে থাকে।
কিডস হেল্পলাইন কাউন্সেলর বেলিন্ডা বউমন্ট বলেন, সাইবারবুলিংও একটি মারাত্মক ইস্যু।
আপনার সন্তানরা অনলাইনে কোন না কোন সময়ে নেতিবাচক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে পারেন ;
সুতরাং এমন কিছু ঘটার আগেই যেটা প্রথমে করতে হবে তা হলো তাদের সাথে মুক্ত মনে আলোচনা এবং তাদের বোঝাতে হবে যে আপনি
তাদের সাহায্য করতে চান।
একজন মাতা হিসেবে বেলিন্ডা বউমন্ট জানেন যে সন্তানদের জন্য সামাজিক মাধ্যম এবং অনলাইন গেমিং বন্ধ করে দেয়া যায়;
কিন্তু তিনি বলেন, এটা কোন সমাধান হতে পারে না।
আপনি যেটা করতে পারেন, বিশেষ করে ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে আপনার সব ডিভাইজগুলোতে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবহার করতে পারেন।
এতে আপনি লক্ষ্য করতে কিংবা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তারা অনলাইনে ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত ভাবে কি দেখছে।
শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে থাকে এমন একটি সংগঠন চাইল্ড ওয়াইজের এক্সেকিউটিভ ডিরেক্টর জেইন ফ্রেঞ্চ বলেন, আপনার সন্তানদের সাথে কথা
বলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি তাদের সামাজিক মাধ্যম এবং যে সব ডিভাইজ তারা ব্যবহার করবে তার সীমানা নির্ধারণ করে দিন।
আপনার সন্তানদের মধ্যে যারা বড় আছে এবং যারা অনলাইন সেফটির বিষয়টি বোঝে তাদেরকেও আলোচনায় সম্পৃক্ত করুন।
আপনার সন্তানদের প্রতি লক্ষ্য রাখতে আরেকটি কাজ করতে পারেন তা হলো তাদের সাথে আপনিও ভিডিও গেম খেলুন কিংবা তারা যে এপটি ব্যবহার
করছে তা ডাউনলোড করুন।
এতে আপনি গেম বা এপগুলো কিভাবে কাজ করে তা সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং ওদের সাথে কথা বলারও সুযোগ পাবেন।
কিন্তু এতো সাবধানতা অবলম্বনের পরেও আপনার সন্তানরা বিপদে পড়তে পারে।
জেইন ফ্রেঞ্চ বলেন, যদি এমনটি ঘটে তাহলে শান্ত থাকাটাই শ্রেয়।
আপনার সন্তান যদি সাইবারবুলিং বা ইমেজ বেজড এবিউজের শিকার হয় তবে জুলি ইনমান গ্রান্ট এ ব্যাপারে ই-সেফটি কমিশনারের
ওয়েবসাইট safety.gov.au তে অনলাইনে রিপোর্ট করার পরামর্শ দেন।
ই-সেফটি কমিশনারের ওয়েবসাইট, esafety.gov.au তে অনলাইন সেফটি, শিশুদের সাথে কিভাবে এ ব্যাপারে কথা বলতে হবে সে সম্পর্কিত বিস্তারিত
তথ্য বিভিন্ন ভাষায় বর্ণনা করা আছে।
আপনি সাইবার প্যারেন্ট এপ ডাউনলোড করে নিতে পারেন যা ১৭ টি ভাষায় পাওয়া যায়।
জুলি ইনমান গ্রান্ট বলেন, এই রিসৌর্স গুলো খুব কার্যকরী।
অনলাইন সেফটি এসবিএস-এর চার পর্বের ড্রামা সিরিজ দা হান্টিংয়ের মূল বিষয়বস্তু। এতে দেখানো হবে কিভাবে তরুণরা তাদের জীবনের জটিলতা,
আত্মপরিচয় এবং যৌনতা প্রযুক্তির মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করে। এর প্রিমিয়ার হবে বৃহস্পতিবার ১ অগাস্ট রাত ৮টা ৩০ মিনিটে এসবিএস অন ডিমান্ডে।