কোভিড ট্যাক্স ডিডাকশন দাবি করতে পারবেন যারা ঘর থেকে কাজ করছেন

An ATM terminal is seen in central Adelaide, Wednesday, September 4, 2019. The Australian economy expanded by 0.5 per cent in the June quarter as annual growth slowed to a fresh post-GFC low 1.4 per cent. (AAP Image/David Mariuz) NO ARCHIVING

An ATM terminal is seen in central Adelaide, Source: AAP

করোনাভাইরাসের কারণে যদিও কোনো কোনো অস্ট্রেলিয়ান কাজ হারিয়েছেন, তবে অনেকেই এখন অফিসে যাওয়ার পরিবর্তে ঘরে থেকেই কাজ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে যে, কয়েক মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান কর্মী ঘর থেকে কাজ করছেন। তারা ট্যাক্স ক্লেইমের সময়ে ঘণ্টা প্রতি ঘরে কাজের জন্য ৮০ সেন্ট করে ট্যাক্স ডিডাকশন ক্লেইম করতে পারবেন। তবে, সংশ্লিষ্ট খরচপত্রের রেকর্ড থাকতে হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কি পুরনো ট্যাক্স মেথড বেছে নিবেন নাকি নতুন ট্যাক্স মেথড? প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারের লিংকটিতে ক্লিক করুন


প্রডাক্ট স্ট্রাটেজি নিয়ে নিজের জন্যই কাজ করেন স্টেফানি বার। মেলবোর্নে তার হোম অফিসে গত চার বছর ধরেই মাঝে মাঝে তিনি কাজ করছেন।সম্প্রতি, করোনাভাইরাসের কারণে, অন্যান্য বহু অস্ট্রেলিয়ানের মতো তিনি ঘরে থেকেই পূর্ণকালীন কাজ করছেন।

হোম ওয়ার্কারদেরকে ঘণ্টা প্রতি ফ্লাট ৮০ সেন্ট করে ডিডাকশন ক্লেইম করার জন্য এখন একটি শর্টকাট দিচ্ছে ট্যাক্স অফিস।
নতুন এই শর্টকাট মেথডের অন্তর্ভূক্ত করা হচ্ছে ইন্টারনেট খরচ, ক্লিনিং বিল, স্টেশনারি, ফোন খরচ এবং অন্যান্য খরচ।
ATO অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ক্যারেন ফোট বলেন, এই শর্টকাট এপ্রোচ প্রয়োগ করা যাবে ১ মার্চ থেকে এ অর্থ-বছরের শেষ দিন, ৩০ জুন পর্যন্ত।

অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেজারার মাইকেল সুকার এই ট্যাক্স রুলকে ‘সাময়িক ব্যবস্থা’ বলে অভিহিত করেন।
তবে, এই ট্যাক্স চেঞ্জ আগামী বছর পর্যন্ত সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন নি মিজ ফোট। কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ফেডারাল সরকার যদি সবাইকে ঘরে থেকে কাজে উদ্বুদ্ধ করে, সেক্ষেত্রে এটা হতে পারে।
তবে, সব ধরনের খরচ ক্লেইম বা দাবি করা যাবে না।

ট্যাক্স অফিস বলছে, কর্মক্ষেত্র থেকে যে-সব আইটেম বা উপকরণ সরবরাহ করা হয় সেগুলোর জন্য ডিডাকশন ক্লেইম করতে পারবে না কর্মীরা।আর, স্টাফরা ইতোমধ্যে যে-সব আইটেমের জন্য রি-ইমবার্সমেন্ট গ্রহণ করেছে, সেগুলোর জন্য এ ডিডাকশন দাবি করতে পারবে না তারা।

ঘণ্টায় ৮০ সেন্ট এর নিয়ম প্রযোজ্য হবে অতিরিক্ত খরচের ক্ষেত্রে। তবে, এটি ক্লেইম করা সম্ভব পূর্বের ঘণ্টায় ৫২ সেন্টের ফিক্সড রেট মেথডের অধীনে; হিটিং, কুলিং, লাইটিং এবং অফিস ফার্নিচারের অবচয় বা মূল্য কমে যাওয়ার জন্য।
ট্যাক্স প্রদানকারীরা তাদের চলমান খরচের মধ্য থেকে কাজ-সংক্রান্ত অংশের দাবি করতে পারবে এবং যৌক্তিকভাবে সেই অর্থের পরিমাণ নিরূপণ করতে পারবে।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহত্তম সংস্থা সিপিএ অস্ট্রেলিয়া। তারা চায় যে, এই সহজতর শর্টকাটটিকে স্থায়ী করা হোক।
এর এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স-এর জেনারেল ম্যানেজার পল ড্রাম বলেন, মার্চের আগ পর্যন্ত, যে-সব কর্মী ঘরে কাজ করেছেন, তাদেরকে এখনও ঘণ্টায় ৫২ সেন্টের নিয়ম ব্যবহার করতে হবে।

তবে, তিনি বলেন, বহু লোক এই প্রথম ঘর থেকে কাজ করছেন। তাই, নতুন এই সহজতর মেথডটি যথাযথ।

মিজ বার বলেন, মনে হচ্ছে, আপডেটেড রুলগুলোর মাধ্যমে অধিকতর সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তবে, তার মতো লোকদের জন্য, যারা ইতোমধ্যে হোম অফিসে কাজ করেছেন, এটি ট্রিকি বা কৌশলপূর্ণ হতে পারে।

আবেদনকারীরা ১ জুলাই থেকে তাদের ট্যাক্স রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। তবে, যদি তারা এই নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করতে চান, তাদেরকে অবশ্যই 'COVID hourly rate' নোট দিতে হবে।


Share