বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৩৫,০০০ অস্ট্রেলিয়ান স্টুডেন্ট ভিসাধারীরা রয়েছেন, কিন্তু তাদের অস্ট্রেলিয়া আসার পরিকল্পনা বাদ দিতে হয়েছে কভিড ১৯-এর কারণে।কলম্বিয়ান উইলিয়াম ওটেরও তাদের একজন, কিন্তু তিনি মেলবোর্নে আসতে গিয়ে ইউএসে আটকে গেছেন।
তিনি বলেন, 'এটা সত্যিই হতাশাব্যঞ্জক যে আমাদের স্বপ্ন কোভিড -এর কারণে থমকে গেছে।'
৩১ বছরের এই শিক্ষার্থী শত শত ব্যক্তিদের একজন যিনি দুসপ্তাহ আগে থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচার চালাচ্ছেন হয় স্টুডেন্ট ভিসা স্থগিত করা হোক অথবা ভিসার ফী উঠিয়ে দেয়া হোক।
অস্ট্রেলিয়া সরকার তাদের আবেদন শুনেছে, সম্প্রতি সরকার ঘোষণা দিয়েছে যে তারা স্টুডেন্ট ভিসা অনুমোদন দেয়া পুনরায় শুরু করবে এবং ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য যে ৬২০ ডলার ফী আছে তা মওকুফ করবে, তাছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বাইরে অনলাইনে পড়াশোনার সময়গুলোও কোর্স শেষে (পোস্ট স্টাডি) ওয়ার্ক ভিসার জন্য বিবেচিত হবে, এবং কোর্স শেষে গ্রাজুয়েট হওয়ার পর কোন শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকেও (পোস্ট স্টাডি) ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবে।
ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজে টেস্ট রেজাল্টের জন্য অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে।
ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ডেইজি রামিরেজ বলেন, বিষয়টি তার কাছে পরিষ্কার নয় কখন তাদের অস্ট্রেলিয়ায় যেতে দেয়া হবে এবং ভ্রমণ প্রক্রিয়াটিই বা কি হবে,তবে যা পরিবর্তন এসেছে তাতে তিনি খুশি। তিনি বলেন, 'আমরা অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের কথা শুনেছে কারণ আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম।'
এই সেক্টরের সাথে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিযোগিতায় থাকার জন্য এই শিথিলতার প্রয়োজন ছিল।
ফিল হানিউড ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন এসোসিয়েশনের একজন কর্মকর্তা তিনি এই মন্তব্য করেন।
তবে ইতিমধ্যে যারা এসেছেন তাদের জন্য অনেকে আরো কিছু করার আহবান জানিয়েছেন, এডুকেশন এনালিস্ট ডঃ এঞ্জেলা লেহম্যান।
ফেডারেল সরকার ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টদের বিশেষ একটি পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে আসার অনুমতি দিতে এখনো বিলম্ব করছে, তবে অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার কবে খুলবে তা এখনো অনিশ্চিত ।