ডলি বেগমই প্রথম কোন বাংলাদেশি, যিনি কিনা কানাডার অন্টারিও প্রদেশে প্রাদেশিক নির্বাচনে এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ৭ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে স্কারবারো সাউথওয়েস্ট আসন থেকে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিসেবে লড়াই করেন তিনি। পাঁচ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছেন তার কাছের প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা গ্যারি এলিসকে।
"রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, মানুষের একজন প্রতিনিধি হয়েই রাজনীতিতে এসেছি," বলেছেন ডলি বেগম।
"এখানে অভিবাসীদের মধ্যে একটা হতাশা আছে, যে তাদের কথা কেউ শুনে না। সংসদে তাদের কোন প্রতিনিধি নেই।" অভিবাসীদের প্রত্যাশাকে প্রাধান্য দিবেন জানিয়ে ডলি বলেন, "মানুষের কথা সংসদে তুলে ধরার জন্যই রাজনীতিতে আসা।"এসবিএস বাংলা পেইজ।
Doly Begum. Source: Supplied
প্রবাস জীবনের শুরুতেই চরম বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন ডলি বেগম। কানাডায় প্রথম সপ্তাহেই, মাত্র ১২ বছর বয়সে শিকার হন বর্ণবৈষম্যের।
"কানাডা আসছি মাত্র এক সপ্তাহ হলো। কি এক কাজে আমি সালওয়ার- কামিজ পরে বাইরে বের হই। একজন আমাকে দেখে বলে উঠল, গো ব্যাক হোম," বলেছেন ডলি বেগম।
"প্রতিউত্তরে আমিও তাকে বলি এটা তোমারও বাড়ি না।"
এ ঘটনা তাকে বেশ নাড়া দেয়। পরবর্তীতে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে চালান সামাজিক আন্দোলন। পাশাপাশি নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করছেন বহুদিন ধরে।ডলির জন্ম বাংলাদেশের মৌলভীবাজার জেলায়। ২০১২ সালে ডলি টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১৫ সালে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে উন্নয়ন প্রশাসনে মাস্টার্স করেন ডলি বেগম।
Doly Begum with her family members. Source: Supplied
পুরো কথোপকথন শুনতে উপরের অডিও লিঙ্কে ক্লিক করুন।