আন্তর্জাতিক একটি রিফিউজি প্রোগ্রামের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় এসেছেন আফগান শরণার্থী বরাত আলী বাতুর। এদেশে বসবাস করার কারণে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন তিনি। অন্যান্য শরণার্থীরা তার মতো ভাগ্যবান নয়, বলেন তিনি।
প্রায় দশ বছর ধরে তারা টেম্পোরারি প্রটেকশন ভিসায় আছে এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন প্রাথমিক সহায়তা লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
READ MORE
নতুন এসবিএস রেডিও অ্যাপ ডাউনলোড করুন
প্রায় এক লাখ আশ্রয়প্রার্থী তাদের আবেদন প্রক্রিয়াকরণের অপেক্ষায় দিন গুণছে। অস্ট্রেলিয়ার সমস্ত স্টেট থেকে ৪০ টিরও বেশি কাউন্সিল এসব শরণার্থীকে সহায়তার জন্য একত্রিত হয়ে আহ্বান জানিয়েছে।
এই প্রচারাভিযানের নেতৃত্বে রয়েছেন মেলবোর্নের গ্রেটার ডানডিনং সিটির কাউন্সিলর রোন্ডা গারাড।
এই “ব্যাক ইয়োর নেইবার” প্রচারাভিযানটি শুরু করার মাধ্যমে কাউন্সিলর গারাড চান এ বছরের ফেডারাল নির্বাচনে এই ইস্যুটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে।
অবহেলিত আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কাউন্সিলগুলো যেখানে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছে, সেখানে ভিক্টোরিয়ান সরকার তাদের প্রোগ্রাম বিস্তৃত করেছে এবং কর্মসংস্থানের জন্য আশ্রয়প্রার্থীদের দক্ষতার উন্নয়নে ভর্তুকি দিচ্ছে।
নয় বছর আগে, নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসেন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আজিজ আজিজ।
একটি ক্যারিয়ার কোর্স সম্পন্ন করতে ছয় মাস সময় ব্যয় করেন তিনি। এখন তিনি মেলবোর্নের একটি শহরতলীতে নার্সিং হোমে কাজ করছেন।
আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রদান করে এ-এম-ই-এস অস্ট্রেলিয়া। এর চিফ একজিকিউটিভ ক্যাথ স্ক্র্যাথ বলেন, তাদের মধ্যে অনেকেই দেশে কাজের ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে। তারপরও, সে-সব দক্ষতা কাজে লাগিয়ে এদেশে কাজ পাওয়া যায় না।
নতুন একটি দেশে অভিবাসনের ক্ষেত্রে এটি ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস সঞ্চারিত করে।
পুরো প্রতিবেদনটি শুনতে উপরের অডিও-প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।
এসবিএস বাংলার অনুষ্ঠান শুনুন রেডিওতে, এসবিএস বাংলা রেডিও অ্যাপ-এ এবং আমাদের ওয়েবসাইটে, প্রতি সোম ও শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত। রেডিও অনুষ্ঠান পরেও শুনতে পারবেন, ভিজিট করুন: