বিশ্ব-শান্তি প্রতিষ্ঠায় যোগেশ মাথুরিয়া: পায়ে হেঁটে ঘুরছেন দেশ-বিদেশ

Yogesh Mathuria

"Money didn't give me peace in my mind", said Yogesh Mathuria (2nd L). Source: Supplied

মুম্বাইয়ের যোগেশ মাথুরিয়ার বয়স ৬১ বছর। বিশ্বমিত্র নামেই তিনি পরিচিত। বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি পায়ে হেঁটে সফর করেছেন ভারতের বিভিন্ন স্থানসহ শ্রী লঙ্কা ও আফ্রিকা। এ পর্যন্ত সাড়ে বার হাজার কি.মি. তিনি হেঁটেছেন। ১২ জানুয়ারি রওনা হয়েছেন বাংলাদেশের উদ্দেশে।


গুজরাতি বংশোদ্ভূত যোগেশ মাথুরিয়া বাস করতেন মুম্বাইয়ে। একসময়ের তথ্যপ্রযুক্তিবিদ যোগেশ এখন তার সফল পেশা ছেড়ে পায়ে হেঁটে ঘুরছেন দেশ-বিদেশ। তার উদ্দেশ্য বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।

১৯৬৬ সালে যখন তার বয়স মাত্র নয় বছর ছিল, তখন তিনি দু’জন ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন এবং পায়ে হেঁটে বিশ্ব ভ্রমণে উদ্বুদ্ধ হন। সতিশ কুমার এবং ই পি মেনন তাদের লেখা বই ‘बिना पैसे दुनिया की पैदल सफर’ (পদব্রজে বিনা অর্থে বিশ্ব-ভ্রমণ) নিয়ে যোগেশদের বাড়িতে আসেন। তারা দু’জন নয়া দিল্লীর রাজঘাট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি-তে যান পায়ে হেঁটে। যোগেশের কচি মনে এই ঘটনা অনেক বড় প্রভাব ফেলে। এই ঘটনার ৪৭ বছর পর আবারও তাদের দু’জনের সঙ্গে যোগেশের দেখা হয়। তারা তাকে পায়ে হেঁটে ভ্রমণের বিষয়ে উৎসাহ দেন।
Yogesh Mathuria
Source: Supplied
যোগেশের বয়স যখন ৫০ বছরে উপনীত হয় তখন তিনি ঠিক করেন এবার জাগতিক বিষয়াদি বাদ দিয়ে সমাজের জন্য তিনি কিছু করবেন। তখন তিনি চাকুরি ছেড়ে দেন। এর পেছনে অবশ্য তার স্ত্রীর অকাল মৃত্যুর বিষয়টিও ভূমিকা রেখেছে। ২০০৪ সালে তার স্ত্রীর ক্যান্সার ধরা পড়ে। সে-সময়ে তিনি মাত্র বিদেশ থেকে মুম্বাইয়ে এসে বসবাস করা শুরু করেছেন। স্ত্রীর চিকিৎসার পেছনে জলের মতো অর্থ খরচ করেও শেষ রক্ষা হয় নি।

২০১৩ সাল থেকে তিনি পদব্রজে ভ্রমণ শুরু করেন।
“অর্থ আমার মনে শান্তি দেয় নি”, বলেন যোগেশ মাথুরিয়া।
পাকিস্তানে যাওয়ার জন্য তিনি দু’বার চেষ্টা করেন এবং ভিসা পেতে ব্যর্থ হন।
Yogesh Mathuria
Source: Supplied
পায়ে হেঁটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে তিনি খরচ কীভাবে যোগান জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তিনি ও তার সঙ্গীদের পেছনে মালপত্র নিয়ে গাড়ি আসে। সেই গাড়ির জ্বালানি খরচ যোগানোর জন্য স্পন্সর রয়েছে। এর বাইরে সাধারণ মানুষ তাদেরকে সহায়তা করে থাকেন।

বাংলাদেশে তিনি প্রবেশ করবেন বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে। এরপর সেখান থেকে তিনি নোয়াখালিতে যাবেন গান্ধী আশ্রমে। এরপর জাপান যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তার।

বাংলাদেশে তিনি সাধারণ লোকের সঙ্গে দেখা করার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন। তবে, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি বিশেষ কোনো প্রচেষ্টা চালাবেন না।

যোগেশ মাথুরিয়ার সাক্ষাৎকারটি ইংরেজিতে শুনতে উপরের অডিও প্লেয়ারটিতে ক্লিক করুন।

Follow SBS Bangla on .





Share