অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ ব্র্যান্ডগুলি তাদের নিজস্ব নৈতিক ফ্যাশন নীতিগুলি পালনে ব্যর্থ : অক্সফাম

Women work in a textile factory in Bangladesh

Women work in a textile factory in Bangladesh Source: Getty Images

বাংলাদেশের পোশাক কারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিকদের দারিদ্র্যতার মধ্যে রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়ান বড় ফ্যাশন ব্র্যান্ডের ব্যবসায়িক অনুশীলনের নিন্দা করা হচ্ছে। সাহায্য সংস্থা অক্সফ্যাম দশটি অতি পরিচিত অস্ট্রেলিয়ান লেবেল কে চিহ্নিত করেছে যারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল সরবরাহকারী চেইনে নীতিগত অনুশীলনের , তারা খুঁজে পেয়েছে খুব কমই তা পালন করা হচ্ছে।


এটি এমন একটি সময় যখন ঐতিহ্যগত ভাবে মানুষ ব্যয় করে উত্সব মৌসুমে ।দেশব্যাপী বছরের শেষভাগের এই সময়ে ক্রেতারা ভিড় করেন রিটেল আউটলেট গুলোতে ,এটাই অস্ট্রেলিয়ানদের কেনা কাটার একটি ধরণ। তবে অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম ব্র্যান্ডগুলির ক্রয় অনুশীলন নিয়ে উদ্বিগ্ন অক্সফাম।

চিফ এক্সিকিউটিভ লিন মরগেইন বলেন, ‘শপিং ফর এ বারগেইন’ শিরোনামে এই গ্রুপের নতুন প্রতিবেদনে ক্রয়ক্ষমতার নিম্নচর্চা ব্যবস্থার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে যা শ্রমিকদের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। তিনি আরো বলেন বেশ কয়েক বছর ধরে‘ জীবিকা নির্বাহ ’((বেঁচে থাকার জন্য যথেষ্ট অর্থ)) তৈরিতে আশাব্যাঞ্জক প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও অনেক ব্র্যান্ডগুলো তা মানছে না।


A report card of 10 Australian fashion retailers doing business in Bangladesh has graded clothing brand H&M the highest in meeting its publicly stated ethical commitments, with a rating of 3 out of 4.

বাংলাদেশে ব্যবসায়িকভাবে কাজ করে এমন ১০ অস্ট্রেলিয়ান ফ্যাশন রিটেইলাদের একটি রিপোর্টে পোশাক ব্র্যান্ড এই এন্ড এমকে নৈতিক প্রতিশ্রুতি মেটানোর ক্ষেত্রের গ্রেডিংএ ৪ এর মধ্যে ৩ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে বিগ ডব্লিউ, কেমার্ট এবং টার্গেট অস্ট্রেলিয়াকে ৪ এর মধ্যে ২.৫ রেট দিয়েছে, এছাড়া কটন অন, ইন্ডাইটেক্স ((জারা)) এবং মায়ার কে ৪ এর মধ্যে ২ রেটিং রেট করেছে।জরিপের ফলাফলগুলিতে আরো দেখানো হয় যে জাস্ট গ্রুপ এবং মোজাইক ব্র্যান্ড ৪ এর মধ্যে ১.৫ রেটিং পেয়ে সবচেয়ে খারাপ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে ।

ওই গবেষণায় ১৫০ টিরও বেশি জরিপ এবং ২২টি সাক্ষাৎকার নেয়া হয় ।ওই গবেষণায় আলোকপাত করা হয় যে ১০ ​​টি কারখানার মধ্যে আটটি কারখানায় বলেছে যে ব্র্যান্ডগুলি ব্যবসা অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার হুমকিসহ উচ্চ-চাপের কৌশল ব্যবহার করছে মূল্য হ্রাস করতে।
১০ টি কারখানার মধ্যে চারটি বলছে যে তারা নিরাপদ ও নৈতিকভাবে পোশাক উত্পাদন করতে যে ব্যয় হয় তার চেয়ে কম মূল্যে অর্ডার গ্রহণ করেছে।

এবং ১০ টির মধ্যে সাতটি কারখানা শ্রমিকদের জন্য উচ্চতর উত্পাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে, ফলে অর্ডারের চাহিদা পূরণের জন্য অতিরিক্ত সময়ের ও শ্রমের প্রয়োজন হয়।
অক্সফামের প্রধান নির্বাহী লিন মরগেইন বলেছেন, ব্যবসায়ের আলোচনায় আরও স্বচ্ছতার প্রয়োজন।

প্রতিবেদনের জবাবে…বিগ ডব্লিউ এসবিএসকে বলেছে , "যদিও আমরা গত ১২মাস ধরে অগ্রগতি করেছি .. আমরা স্বীকার করি যে আরও কাজ করার দরকার আছে।"

কেমার্ট বলছে যে তারা ক্রমাগতভাবে ক্রয় অনুশীলন এর উন্নতি করছে। লিভিং ওয়েজ প্রতিশ্রুতিগুলি বাস্তবায়ন করার বিষয়টি নিয়ে সরবরাহকারীর সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। " মায়ার বলেছে যে " সকল সরবরাহকারীকে মায়ারের নৈতিক স্রোসিং নীতি অনুসরণ করা প্রয়োজন "

যদিও মোজাইক ব্র্যান্ড এই প্রতিবেদনটিকে ত্রুটিযুক্ত বলে উল্লেখ করেছে, এটি " অস্ট্রেলিয়ান কোম্পানিগুলো কীভাবে বাংলাদেশে কাজ করছে তার সঠিক চিত্র প্রতিফলিত করে না।"

এথিক্যাল ক্লোথিং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাঞ্জেলা বেল বলেন যে অস্ট্রেলিয়ায় পোশাক শ্রমিকরাও এমন পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন। । এই সংস্থাটি তথাকথিত গোপন কর্মীদের বা আউট ওয়ার্কারদের তাদের অধিকার সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার জন্য হটলাইনে ফোন করার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রচারণা শুরু করেছে।

মিস বেল বলেন যে অনেক রিপোর্টে দেখা যায় যে কম পারিশ্রমিকে দীর্ঘ সময় কাজ করানো হয়।


Share