এএসআইও প্রধান মাইক বার্জেস গত সোমবার ক্যানবেরাতে অ্যানুয়াল থ্রেট এসেসমেন্ট বিষয়ে বক্তৃতা করার সময় সতর্ক করে দিয়ে বলেন, চরম ভাবাদর্শের ডানপন্থীরা ক্রমবর্ধমান হারে শংকা জাগিয়ে তুলেছে।
মিঃ বার্জেস বলেন, ইনটারনেটে চরমপন্থী অনলাইন ফোরামগুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে, তারা আন্তর্জাতিক সদস্যপদ দিচ্ছে যার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ানরাও আছে।
যদিও কোন চরম ডানপন্থী গ্রুপকে সন্ত্রাসবাদের জন্য হুমকি হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়নি, তারপরেও এরা উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে।
যদিও মি: বার্জেস কোন বামপন্থী গ্রূপের হুমকির কথা উল্লেখ করেননি , তারপরেও হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার পিটার ডাটন বলেন সিকিউরিটি এজেন্সিগুলো রাজনৈতিক ভাবধারার দুই বিপরীত পন্থার হুমকির ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছে।
গত বছরের ক্রাইস্টচার্চ গণহত্যার পর সিকিউরিটি এজেন্সিগুলো চরম ডানপন্থীদের ওপর জোর নজর রাখতে শুরু করেছে।
গত বছরের ১৫ মার্চে একজন অস্ট্রেলিয়ান ব্যক্তি নিউজিল্যান্ডের ওই শহরের দুটি মসজিদে বেপরোয়া গুলি চালিয়ে ৫১ জনকে হত্যা করে, ঘটনার আগে সে অনলাইনে হোয়াইট সুপ্রিমিস্ট বা শ্বেত আধিপত্যের মেনিফেস্টো প্রচার করে।
এই ট্রাজেডির এক বছর হতে চলছে, এর প্রেক্ষিতে লেবার এমপি টিম ওয়াটস প্রশ্ন করেছেন এইসব হুমকি মোকাবেলায় সরকার কি পরিবর্তন এনেছে।
পিটার ডাটন বলেন, চরমপন্থা কোন ভাবাদর্শ থেকে আসছে সেটা নিয়ে তিনি ভাবিত নন, সেটা বাম বা ডান যে আদলেই আসুক না কেন, তা মোকাবেলা করা হবে।
কিন্তু লেবার এমপি অ্যান এলি সরকারকে দীর্ঘদিন ধরে চরম ডানপন্থীদের হুমকি উপেক্ষা করার বিষয়ে অভিযুক্ত করেছেন।
এএসআইও প্রধান বিদেশী গোয়েন্দাদের হুমকির বিষয়টিও তুলে ধরেছেন, এ প্রেক্ষিতে তিনি বলছেন যে এটি কোল্ড ওয়ার বা স্নায়ু যুদ্ধের সময়ের চেয়েও বেশি।
যদিও ফেডারেল সরকার এবং এএসআইও এইসব হুমকি কোথা থেকে আসছে সে বিষয়ে সঠিক কিছু চিহ্নিত করতে দ্বিধাগ্রস্ত, তবে এর আগে চীনের দিকেই আঙ্গুল তোলা হয়েছিল।
সেন্টার এলায়েন্স সিনেটর রেক্স প্যাট্রিক বলেন, সরকারকে দায়ী দেশের নাম বলতে হবে, যে দেশটির দিকে সরকার আঙ্গুল তুলেছে সেটি সম্ভবত চীন, তিনি যোগ করেন।
সিনেটর প্যাট্রিক বলেন, এটা গণ সচেতনতার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ই শুধু নয়, এর মাধ্যমে চীনের ওপরও চাপ দেয়া যাবে, যদি কোন অগ্রহণযোগ্য আচরণ ধরা পড়ে।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অভিযোগ করেছে যে তারা নজিরবিহীনভাবে বিদেশী হস্তক্ষেপের মুখোমুখি হচ্ছে।
লেবারের হোম অ্যাফেয়ার্স মুখপাত্র ক্রিস্টিনা কেনেলি বলেন, হুমকি যে আদলেই আসুক না কেন সেটা কমানো সম্ভব যদি কমিউনিটি এবং ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিগুলো একসাথে কাজ করে।
এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে চরমপন্থীদের তৎপরতা নিরোধে কর্মসূচি পরিচালনাকারী চ্যারিটি গ্রূপ অল টুগেদার নাউ বলছে, ভয়ংকর চরমপন্থা মোকাবেলা করতে কমিউনিটিকে কেন্দ্র করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরো বিনিয়োগ করতে হবে।