সম্প্রতি ত্রুটিযুক্ত টেস্টিং কিটস আটক করেছে অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স। তাই, করোনাভাইরাস সংক্রমণের পরীক্ষা জনগণকে নিজের হাতে তুলে না নিতে আহ্বান জানিয়েছে ফেডারাল সরকার।
অ্যাটর্নি-জেনারেল ক্রিস্টিয়ান পোর্টার বলেন, জিপিদের কাছ থেকে ছাড়া অন্য যে কোনো উৎস থেকে প্রাপ্ত টেস্ট কিটস সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়ানদের সতর্ক হওয়া উচিত। তিনি বলেন, আমদানিকৃত কোভিড-১৯ টেস্ট কিটসগুলো থেকে “অযথার্থ ফল” পাওয়া যায়। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষ যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
ক্যানবেরায় গত রবিবার তিনি রিপোর্টারদেরকে বলেন,
“আমরা এ সম্পর্কে সচেতন। রুটিন হিসেবে নয়, বরং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য হিসেবে সীমান্তে তল্লাশির মাধ্যমে আমরা এটা যথাসাধ্য বন্ধ করার চেষ্টা করছি।”
“যারা তাদের টেস্ট নিয়ে নিশ্চিত নয় কিংবা যারা অনলাইনে বা পোস্টের মাধ্যমে এটি কিনছেন, এটা করবেন না।”
“এই সময়ে টেস্ট করার দায়িত্ব আপনার নিজ হাতে তুলে নেবেন না। কারণ, আমরা জানি, টেস্ট আমদানি করার সঙ্গে ত্রুটিপূর্ণ টেস্ট এবং বিপদজনক টেস্ট আমদানি সংশ্লিষ্ট।”
হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার পিটার ডাটন বলেন, আমদানিকৃত ডজি বা ঝুঁকিপূর্ণ “হোম” কোভিড-১৯ টেস্ট কিটগুলো গণ-স্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।
তিনি সতর্ক করে বলেন যে, এসব কিটস ব্যবহার করা হলে স্বাস্থ্য-সেবা প্রদানকারী পেশাজীবিদের গুরুত্বপূর্ণ, জীবন-রক্ষাকারী কাজগুলো গুরুত্ব হারাবে।
গত রবিবার এক বিবৃতিতে মিস্টার ডাটন বলেন,
“অযথার্থ রেজাল্টের ফলে জনগণ তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা চাইবে না কিংবা এর ফলে যাদের সেল্ফ-আইসোলেশনে যাওয়া উচিত, তারা সেটা করবে না।”
তিনি বলেন, থেরাপিটিক গুডস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অভিমত দিয়েছে যে, এসব টেস্ট কিটস অনুমোদিত মেডিকেল ডিভাইস নয়।
মিস্টার ডাটন বলেন,
“অবৈধ কিংবা ঘরে তৈরি কোভিড-১৯ পণ্যগুলোর ব্যাপারে আমাদের এবিএফ [অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স] কর্মকর্তারা সতর্ক রয়েছে। এসব বিপদজনক পণ্যগুলো যেন অস্ট্রেলিয়ানদের ঘরে কিংবা সমাজে না আসে সেটা নিশ্চিত করতে তারা দিন-রাত কাজ করবে।”
চীনে তৈরি এবং পার্থে আসা ২০০ ইউনিটের একটি চালান ধরেছে এবিএফ। গত ১৬ মার্চ এটি এয়ার কার্গো যোগে সিঙ্গাপুর ঘুরে পার্থে আসে।
এভাবে, গত ২৩ মার্চ পার্থে আরও ৫০ ইউনিট আটক করা হয়। আর, মেলবোর্নে ২৭ মার্চ আটক করা হয় ৩৯ ইউনিট। এ দুটি চালানই এসেছে হংকং থেকে।
মিস্টার ডাটন বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় কোভিড-১৯ এর একমাত্র অনুমোদিত টেস্ট হলো হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিকগুলোতে করা ল্যাবরেটোরি-ভিত্তিক টেস্টগুলো কিংবা হেলথ প্রফেশনালদের দ্বারা পরিচালিত টেস্টগুলো।
অস্ট্রেলিয়ানদেরকে অবশ্যই পরস্পরের মাঝে কমপক্ষে ১.৫ মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পরিবারের সদস্য ছাড়া অন্যদের সঙ্গে হলে দু’জনের বেশি একত্রিত হওয়া যাবে না।
আপনি যদি মনে করেন যে, আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাহলে আপনার ডাক্তারকে কল করুন। ডাক্তারের কাছে যাবেন না। আপনি ন্যাশনাল করোনাভাইরাস হেলথ ইনফরমেশন হটলাইনেও কল করতে পারেন এই নম্বরে: 1800 020 080
আপনার যদি শ্বাস-কষ্ট কিংবা মেডিকেল ইমার্জেন্সি দেখা দেয়, তাহলে 000 নম্বরে কল করুন।
আপনার ভাষায় কোভিড-১৯ এর সর্বশেষ আপডেট জানাতে এসবিএস প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ৬৩ টি ভাষায় এ বিষয়ক সংবাদ ও তথ্য পাবেন। ভিজিট করুন: .
বাংলায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) বিষয়ক আমাদের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ভিজিট করুন:
Additional reporting: AAP