ভারতে চতুর্থ দফার লকডাউন নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও তাঁর মন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।রবিবার রাত ৯ টায় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিশেষ বৈঠক করবেন সব রাজ্যের মুখ্যসচিবদের সঙ্গে।এর আগে রবিবার দুপুরে লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়ু সরকার।
লকডাউনের মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে জানায়,সেই সময় পর্যন্তই রাজ্যের স্কুল, কলেজ, ধর্মস্থান, সিনেমা হল, রেস্তোরাঁ, বার-সহ সব জমায়েতের স্থান বন্ধ থাকবে।মহারাষ্ট্রের ঘোষণার কিছু পরেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর কথা ঘোষণা করে তামিলনাড়ু।গোটা দেশের করোনা আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশই মহারাষ্ট্রের।
খবর,কিছু ক্ষণের মধ্যেই নতুন বিস্তারিত নির্দেশিকা প্রকাশ করা হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফ থেকে।লকডাউন নির্দে্শিকার এই বিলম্ব নিয়ে ইতিমধ্যেই খেদ প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য।এ দিনই পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্র দফতরের টুইটার হ্যান্ডলে জানিয়ে দেওয়া হয়, যেহেতু এ দিন বিকেল পর্যন্ত কেন্দ্র কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি লকডাউন সম্পর্কে, তাই স্থিতাবস্থা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।ওই টুইটে জানানো হয়েছে,সোমবার দুপুরে রাজ্যে একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ঘোষণা করবে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,আন্তর্জাতিক ও অন্তঃদেশিয় উড়ান বন্ধ থাকছে।তবে মেডিক্যাল সার্ভিস, এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স, নিরাপত্তা সংস্থার উড়ান চালু থাকবে।সব বিমান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ মতো উড়বে।বন্ধ থাকছে মেট্রো সার্ভিস।স্কুল, কলেজ, ট্রেনিং সেন্টার-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।অনলাইনেই পড়াশোনা চলবে।হোটেল, রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে।
রেস্টুরেন্টগুলি হোম ডেলিভারির জন্যে কিচেন চালাতে পারবে।বন্ধ থাকবে সব সিনেমা হল, জিম, শপিং মল।গত সপ্তাহে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে,অনেক মুখ্যমন্ত্রীই ব্যবসা বাণিজ্য খোলার পক্ষে মত দিয়েছিলেন।বিশেষ করে মল বা বড় প্রতিষ্ঠানগুলি।অনেকেই সীমিত আকারে হলেও পরিবহণ ব্যবস্থা চালুর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।তবে তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যে ট্রেন চালুর বিরুদ্ধেই মত দিয়েছিল।