স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের একটি সূত্র জানিয়েছে,রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এই মর্মে একটি সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে যে,রোহিঙ্গাদের শিবিরগুলোতে গিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁদের স্ক্রিন করা উচিত এবং তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা দরকার। কেননা এই খবর পাওয়া গেছে যে রোহিঙ্গা মুসলিমরা তাবলিগি জামাতের বিভিন্ন ধর্মীয় জমায়েতে অংশ নিয়েছে।সেই কারণেই তাঁদের মধ্যে অনেকেরই করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এবিষয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে পদক্ষেপ করা হোক,বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ প্রধান ও মুখ্য সচিবদের চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।ওই চিঠিতে হায়দরাবাদ, তেলেঙ্গানা, দিল্লি, পঞ্জাব, জম্মু ও মেওয়াতের শিবিরগুলিতে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চিহ্নিত করার বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।চিঠিতে বলা হয়েছে,হায়দরাবাদের শিবিরে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা মেওয়াতের ইজতেমায় যোগ দিয়েছিল এবং তারপরে তাঁরা নিজামউদ্দিনের মার্কাজেও গিয়েছিল। এছাড়াও শ্রম বিহারে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা, শাহীনবাগেও তাবলিগি জমায়েতে যোগ দেয়। তারপরে তাঁরা অনেকেই আর নিজেদের শিবিরে ফিরে আসেনি।
এদিকে জম্মুতে বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তবলিঘি জামাতের সম্পর্ক সামনে আসার পরই তত্পর হয়ে উঠেছে জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন।যেসব এলাকায় রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরা থাকেন সেইসব এলাকায় জোরদার করা হয়েছে নজরদারি ব্যবস্থা।জম্মুর ভাতিন্দি ও সুনজাওয়ান এলাকায় থাকেন কমপক্ষে ২ লাখ মানুষ।রোহিঙ্গারা থাকায় ওই দুই এলাকাকে হটস্পট বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন।দুটি এলাকাকেই সিল করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে বাইরে বের হতে বা এলাকায় ঢুকে দেওয়া হচ্ছে না।
ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানে হচ্ছে।গোটা জম্মু জেলায়।কয়েকদিন আগে এলাকার একটি মসজিদ থেকে ১০ রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে পুলিস।তারপর তাদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।পুলিসের দাবি, ওই ১০ জনের মধ্যে ২ জন হায়দরাবাদ থেকে এসেছেন। ওই দশ জনের পর ভাতিন্দার ফিরদোসাবাদ এলাকা থেকে ২২ জনেক গ্রেফতার করে পুলিস।এদের মধ্যে ৯ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।গোয়েন্দা সূত্র খবর, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসাবস করেন রোহিঙ্গারা।হায়দরাবাতদেও রয়েছে অনেকে।এদের মধ্যে অনেকেই হরিয়ানার মেয়াতে জামাতে গিয়েছিলেন। তার পর সেখান থেকে দিল্লির নিজামুদ্দিন গিয়েছিলেন। সেখান থেক জম্মু ফিরে এসেছিলেন।