নাগরিকত্বআইনেরপ্রতিবাদেএখনও উত্তপ্ত পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্নএলাকা।কোথাওরেলঅবরোধ, কোথাওরাস্তাআটকেবিক্ষোভদেখাচ্ছেবিক্ষোভকারীরা।বাধ্যহয়েইরবিবারপশ্চিমবঙ্গের ৬জেলায়ইন্টারনেটপরিষেবাবন্ধকরেদিয়েছে রাজ্যসরকার।বলাহচ্ছে ,রাজ্যসরকারেরবারবারআহ্বানসত্বেওকয়েকটিধর্মীয়সংগঠনবিভিন্নজায়গায়জমায়েতওহাঙ্গামাবাধানোরচেষ্টাকরছে।তাইআপাততরাজ্যেরশান্তিওসাধারণমানুষেরস্বার্থেবাতিলকরাহচ্ছে ইন্টারনেটপরিষেবা।ওইবিবৃতিতেবলাহয়েছে, সরকারবারবারবলাসত্বেওকিছুবহিরাগতঅন্যদেরফাঁদেপাদিয়েঅশান্তিকরছে।এদিকে জেলায়জেলায়অবরোধবিক্ষোভপ্রতিবাদেরনামেযথেচ্ছভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, রাস্তাঅবরোধযারাকরবেতাদেরকাউকেছেড়েদেওয়াহবেনাবলেকড়াবিবৃতিদিয়েছেনমুখ্যমন্ত্রীমমতাবন্দ্যোপাধ্যায়।অশান্তিছড়ানোরইঙ্গিতআসতেইকড়াহাতেপরিস্থিতিরমোকাবিলাকরারনির্দেশদিয়েছেনমুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে,সারা দেশ যখন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে তোলপাড়, ঠিক তখনই নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ভোটার কার্ড আর পাসপোর্টকে মান্যতা দিয়েছেমুম্বইয়ের একটি নিম্ন আদালত।জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে মহম্মদ মোল্লা ও সইফুল নামে দুজনকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। সম্পর্কে বাবা-ছেলে মোল্লা ও সইফুলকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আদালতে অভিযোগ করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, ওই দুজন বাংলাদেশি ভাষাতে কথা বলেন এবং তাঁরা এমন কোনও নথি দেখাতে পারেননি, যাতে প্রমাণিত হয় তাঁরা ভারতীয়।কিন্তু আদালতে দুজনেই ভারতীয় পাসপোর্ট ও ভোটার আইডি কার্ড জমা দেয়। এরপরই আদালত জানায়, পাসপোর্ট থাকাই যথেষ্ট সইফুলের নাগরিকত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে। একইভাবে ভোটদানের ক্ষমতা প্রদান করে ভোটার আইডি কার্ডও দেশের নাগরিক হিসেবে প্রমাণের যথেষ্ট নথি হিসেবে গ্রাহ্য। এতে একটা বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছে কোর্ট, তা হল রেশন কার্ড, আধার কার্ড বা অন্যান্য পরিচয়পত্র নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে গ্রাহ্য নয়।
ওদিকেআবার, দেশের বিভিন্ন অংশে নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় চরম বিক্ষোভের জন্য বিরোধীদের দিকে আঙুল তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস ও তার শরিক দলগুলিই আইন নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে ধুন্ধুমার বাঁধিয়েছে। অসমবাসী হিংসা থেকে সরে এসেছে বলে দাবি করে তাঁদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বলেছেন,উত্তর-পূর্বের মানুষ হিংসা পরিত্যাগ করেছেন।কংগ্রেসের পদক্ষেপ বুঝিয়ে দিচ্ছে যে সংসদে যে সিদ্ধান্তগুলি নেওয়া হয়েছে তা একেবারে সঠিক। বিরোধী দলগুলি মানুষের কষ্ট না-বুঝে শুধু নিজেদের ইমারত গড়ে তুলেছেন বলেও কটাক্ষ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
অন্যদিকে ,১৪৪ ধারা, কার্ফুর মাঝেও ধীরেধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্য, অসম । কিন্তু আন্দোলন বিক্ষোভে স্তব্ধ হয়ে থাকা অসমবাসীর কাছে এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাজারদর।আটকে রয়েছে সারি সারি পণ্যবাহী লরি। পাঁচ দিন ধরে কোনও নড়চড় নেই। রাস্তাতেই রান্না-খাওয়া সারছেন চালক-খালাসিরা। তার মধ্যে পচন ধরেছে লরিবোঝাই মাছ ও ডিমে। ফলে দাম বাড়ছে হুহু করে।নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতায় ছাত্রসংগঠন,আসু অসমে অনির্দিষ্টকালের বন্ধ ডাকার ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। অসম-বাংলা সীমানা দিয়ে কোনও যানবাহনকে অসমে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।আলিপুরদুয়ারের পুলিশ কর্তাদের অনুমান, পরিস্থিতি সহজে স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনাই নেই।রাতের অন্ধকারে জাতীয় সড়কে থমকে থাকা পণ্যবাহী লরিগুলির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কালঘাম ছুটছে পুলিশের। তবে সবচেয়ে চিন্তায় সাধারণ মানুষ। হিংসা, সেইসঙ্গে অস্বাভাবিক দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি ঘুম কেড়ে নিয়েছে জনতার।