নিরলস পরিশ্রম, অপরিসীম ভালোবাসা আর আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে তিনি সারা দেশ ঘুরে ঘুরে জাতিকে জাগিয়েছিলেন। বাঙালির হাজার বছরের স্বাধীনতার স্বপ্নকে যিনি বাস্তবায়িত করেছিলেন, তিনি মহাকালের মহানায়ক বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই সবুজ-শ্যামলে ঘেরা পলিমাটিতে ‘বাংলাদেশ’ নামের স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের পত্তন করেছিলেন। উপহার দিয়েছিলেন লাল-সবুজের পতাকা, বিশ্বের বুকে অনির্বাণ এক মানচিত্র। আজ বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠতম অর্জন, বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। বিবিসি বাংলার জরিপে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি’ নির্বাচিত এই মহান নেতাকে আজ গোটা বাঙালি জাতি স্মরণ করবে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায়।
রূপকথাকেও হার মানিয়েছেন ব্যক্তি মুজিব। দেশের জন্য নানা আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, বাঙালি জাতিকে অপরিমেয় ভালোবাসার মধ্য দিয়ে তিনি পরিণত হন বঙ্গবন্ধু অভিধায়। আর বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ে যেমন যুক্ত থেকেছেন, তেমনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ষাটের দশক থেকেই হয়ে উঠেছেন চিরভাস্বর। তাঁর জন্ম না হলে হয়তো জন্ম হতো না বাংলাদেশের। তাই বাংলাদেশের অপর নাম শেখ মুজিবুর রহমান।বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে বাংলাদেশ সরকার ১৭ মার্চ থেকে এক বছর ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে ।
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে জনসমাগম না ঘটিয়ে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বছরব্যাপী আয়োজনের উদ্বোধন হয়েছে ।আজ মঙ্গলবার সীমিত আয়োজনের এই অনুষ্ঠানে বাবাকে নিয়ে শেখ রেহানার লেখা কবিতা আবৃত্তি করেন বড় বোন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা; শেখ রেহানা কণ্ঠ দেবেন মুজিববর্ষের ‘থিম সং’ এ।আতশবাজি, আলোকসজ্জা আর আলোচনার মধ্য দিয়ে মুজিববর্ষের উদ্বোধন হবে, জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিশু দিবসে স্কুল-কলেজে শিশুদের অংশগ্রহণে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের কথা থাকলেও তা এবার আর হচ্ছে না।বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মক্ষণ উদযাপনে সারাদেশে একযোগে আতশবাজি প্রদর্শনী ও ফানুস ওড়াবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, ধানমণ্ডি রবীন্দ্র সরোবর, হাতিরঝিল, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, টিএসসি ও জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় হবে আতশবাজি প্রদর্শনী।এছাড়াও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কে আলোকসজ্জা করা হবে।