বড়দিন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। দুই হাজার বছর আগে ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক মহামানব যিশু জেরুজালেমের কাছে বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে জন্ম নিয়েছিলেন।মানুষকে সুপথে আনার জন্যই যিশু আবির্ভূত হয়েছিলেন। খ্রিস্টীয় মতে, যিশু ঈশ্বরের পুত্র এবং জগতের সব মানুষের ত্রাণকর্তা। শাসকের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি শোষিত, বঞ্চিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষ নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি ওই সময়ের শাসকের নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এবং মাত্র ৩৩ বছর বয়সে তাঁকে ক্রশবিদ্ধ হয়ে জীবন দিতে হয়েছিল।
জিঙ্গেল বেলের সুরে সুরে ক্রিসমাস আসে আনন্দের উপলক্ষ নিয়ে। যিশুর জন্মের বহু বছর পর থেকে বিশ্বের খ্রিষ্টানরা এ দিনটিকে আনন্দ ও মুক্তির দিন হিসেবে পালন করতে শুরু করেন। ৪৪০ সালে পোপ এ দিবসকে স্বীকৃতি দেন। তবে উৎসবটি জনপ্রিয়তা পায় মধ্যযুগে। সে সময় এর নাম হয় ‘ক্রিসমাস ডে’। বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই ক্রিসমাস দিবস সরকারি ছুটির দিন।অস্ট্রেলিয়ার খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা আনন্দ ও নানা আয়োজনের মধ্যে পালন করছে দিনটি। প্রবাসী বাংলা ভাষাভাষীরাও এই আনন্দের সঙ্গী হয়েছে। আজ সরকারি ছুটির দিন.
২৫ ডিসেম্বরের এই দিনে পৃথিবীতে এসেছিলেন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। খ্রিষ্ট ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে প্রভু যিশুর এই ধরায় আগমন ঘটে।বেথলেহেমে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার, মানবজাতিকে পাপ থেকে মুক্তি দিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে পৃথিবীতে আগমন ঘটে যিশুর।
আজ থেকে ২ হাজার বছর আগে জন্ম হয়েছিল যিশুর। খ্রিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের মতে ঈশ্বর যাকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানব জাতির মুক্তির জন্য, যিশু নামের সেই শিশুটি বড়ো হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শুনিয়েছিলেন , ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো, ভালোবাসো সবাইকে, ভালোবাসো তোমার প্রতিবেশীকে, এমনকি তোমার শত্রূকেও। মানুষকে ক্ষমা করো, তাহলে তুমিও ক্ষমা পাবে। কেউ তোমার এক গালে চড় মারলে তার দিকে অপর গালটিও পেতে দাও।’ ‘পাপিকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে। গরিব-দুঃখীদের সাধ্যমতো সাহায্য করো, ঈশ্বরকে ভয় করো।’খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারী সকলের জন্য রইলো বড়দিনের শুভেচ্ছা।