ভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে হবে।ভাঙতে হবে করোনার সংক্রমণের শৃঙ্খল।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন,ভারত এমন ধাপে রয়েছে,যেখানে প্রতিটি দেশবাসীর পদক্ষেপ ঠিক করে দেবে,কতটা ক্ষতি এড়াতে পারা সম্ভব হবে।প্রতিটি পদে ধৈর্য ধরতে হবে,লকডাউনে ঘর থেকে না বেরানোর সংকল্প নিতে হবে, প্রাণ থাকলে দুনিয়া থাকবে।
মঙ্গলবার রাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে,এ বার সারা দেশে আগামী তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এই লকডাউন জারি থাকবে।ওই সময়ে দেশের কোনও নাগরিকের বাড়ির বাইরে পা রাখা উচিত নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
করোনার প্রভাবে ইতিমধ্যেই দেশের একাধিক রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল,যার মেয়াদ ছিল ৩১ শে মার্চ।কার্ফুও জারি হয়েছে কোথাও কোথাও।এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরেই বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানোর পাশাপাশি,কোনও রকম চার্জ ছাড়া যে কোনও ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে টাকা তোলায় ছাড় দেওয়া হয়।এর পরই করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এই টাকায় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে আইসোলেশন ওয়ার্ড, আইসিইউ, ভেন্টিলেটরের সংখ্যা বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতেও প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছিলেন।সেই সময় তিনি জনতা কার্ফু-র ডাক দেন রবিবার।সেই ১৪ ঘণ্টার কার্ফুর পর থেকে গোটা দেশেই প্রায় কার্যত লকডাউন হয়েছিল।অবশেষে মঙ্গলবার রাতে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন,রাত বারোটার পর থেকে গোটা দেশ সম্পূর্ণ লকডাউনে চলে যাবে।প্রধানমন্ত্রী সকলের কাছে আর্জি জানিয়েছেন,বাড়িতে থাকতে।তিনি বলেছেন,এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে প্রতিটি ভারতীয়, প্রতিটি পরিবারের জন্য।তিনি আরও জানিয়েছেন,এর জন্য হয়তো দেশকে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।কিন্তু দেশের মানুষের সুরক্ষার জন্য এটাই করণীয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তিনি আরও বলেছেন,আজকের লকডাউনের সিদ্ধান্তের অর্থ লক্ষ্মণরেখা টেনে দেওয়া হল আপনার দরজায়।আপনি যদি, এর এক ফুট বাইরেও যান,তাহলে করোনা ভাইরাস আপনার বাড়িতে ঢুকে পড়বে।প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন,করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাই একমাত্র পথ।