ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মধ্যে এ বৈঠকের উদ্যোগ নেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই মন্ত্রীর খোলামেলা এবং গঠনমূলক আলোচনায় পাঁচটি পরিকল্পনায় ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
এর আগে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-এর মধ্যে বৈঠকের পর ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনে পরিকল্পনা মধ্যে রয়েছে, সীমান্তের সম্মুখসারির সেনা ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান সব চুক্তি ও প্রোটোকল মেনে চলা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং পরিস্থিতি উত্তেজক করে তুলতে পারে এমন সব কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকা।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত হয়েছেন যে সীমান্ত এলাকার বর্তমান পরিস্থিতি কোনো পক্ষের স্বার্থের অনুকূল নয়। সে কারণে উভয়পক্ষের সীমান্ত বাহিনীর উচিত তাদের আলোচনা চালিয়ে যাওয়া, দ্রুত সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া, যথাযথ দূরত্ব বজায় রাখা এবং উত্তেজনা নিরসন করা, এ ব্যাপারে দুই পক্ষই সম্মত হয়েছেন।
ভারত-চীন সম্পর্কের অগ্রগতির বিষয়ে দুই দেশের শীর্ষ নেতার মধ্যে যেসব ধারাবাহিক সম্মতি তৈরি হয়েছিল তার থেকে নির্দেশনা নেওয়া উচিত বলেও দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একমত হয়েছেন। এটি ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর মধ্যকার বৈঠকের দিকেই ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।এছাড়া উভয় দেশই চীন-ভারত সীমান্ত প্রশ্নে বিশেষ দূত মারফত আলোচনা ও যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়ার বিষয়েও একমত হয়েছে।