২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ায় বিভিন্ন সময়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছে বুশফায়ার, খরা এবং অবশ্যই ফেডারাল নির্বাচনের ঘটনা, যেখানে কোয়ালিশন বিজয়ী হয়েছে।
ট্যাক্স, অর্থনীতি এবং পরিবেশ-সহ আরও নানা বিষয় নিয়ে ব্যস্থ ছিল সরকার, বিরোধী দল এবং ক্রস-বেঞ্চ। সবমিলিয়ে ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারাল রাজনীতি বেশ খানিকটা উত্তপ্তই ছিল।
পাঁচ সপ্তাহ নির্বাচনী প্রচারের পর মে মাসের ফেডারাল নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে অস্ট্রেলিয়ার ৩০ তম প্রধানমন্ত্রী হন অনেকের কাছে “স্কো-মো” নামে পরিচিত স্কট মরিসন।
নির্বাচনে লেবার দলের বিজয়ের ব্যাপারে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন। কোয়ালিশনের এই বিজয়ে লেবার দল হতভম্ব হয়ে পড়ে। তাদের তৎকালীন নেতা বিল শর্টেন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নেন।ছয় বছর বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তিনি তৎক্ষণাৎ দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান।
Former Labor leader Bill Shorten said the party must learn from the lessons of their election defeat. Source: AP
তার স্থলে লেবার দলের দায়িত্ব গ্রহণ করেন অ্যান্থোনি অ্যালবানিজ। নেতৃত্বের নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই তিনি অস্ট্রেলিয়ান লেবার পার্টির ২১তম নেতা নির্বাচিত হন।
২০১৯ সালে লিবারাল দলের কয়েকজন বর্ষীয়ান নেতা-নেত্রী, যেমন, জুলি বিশপ এবং ক্রিস্টোফার পেইন রাজনীতি থেকে বিদায় নেন।
প্রথম ইনডিজেনাস সদস্য হিসেবে ইনডিজেনাস অস্ট্রেলিয়ানস মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন কেন ওয়েট।পাঁচ বছর গভর্নর-জেনারেলের দায়িত্ব পালনের পর বিদায় নেন স্যার পিটার কসগ্রোভ। নতুন গভর্নর-জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব নেন ডেভিড জন হারলে।
Indigenous Affairs Minister Ken Wyatt at an event launch for Stolen Generations fact sheets aimed at helping survivors get better care Source: SBS News
এ বছর কয়েকজন প্রখ্যাত নেতা মৃত্যুবরণ করেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বব হক।
আরও মৃত্যুবরণ করেন সাবেক ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার টিম ফিশার।
কোয়ালিশন সরকার ওয়াদা করেছিল ট্যাক্স কাটের। সেটা তারা বাস্তবায়ন করে।
ট্রেজারার জশ ফ্রাইডেনবার্গ প্রতিশ্রুত উদ্বৃত্ত বাজেট ঘোষণা করেন।
তবে, ছয় মাস পরে মিড-ইয়ার বাজেট আপডেটে দেখা যায়, উদ্বৃত্ত বাজেট থেকে দুই বিলিয়ন ডলার কর্তন করতে বাধ্য হয়েছে সরকার। দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনীতি এবং অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জকে সেজন্য দায়ী করে তারা। যেমন, খরা ও বুশফায়ারের ঘটনা।
সংগ্রামরত ফার্মারদের জন্য ত্রাণ হিসেবে এক বিলিয়ন ডলার প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দেন প্রধানমন্ত্রী।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে বুশফায়ার দেখা দিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে পূর্ব-পরিকল্পিত অবকাশ যাপনের জন্য সপরিবারে বিদেশ ভ্রমণ করে প্রশ্নের সম্মুখিন হন স্কট মরিসন। এর ফলে জলবায়ু পরিবর্তন আন্দোলনকারীরা নতুন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন।
২০১৯ সালের শুরুর দিকে প্যাসিফিক আইল্যান্ডস ফোরামে অংশ নিতে প্যাসিফিক অঞ্চলের ছোট দ্বীপ টুভালু সফর করেন মিস্টার মরিসন।তথাকথিত মেডেভ্যাক আইন বাতিল করে মরিসন সরকার। ফলে বিপাকে পড়ে মনুস আইল্যান্ড ও নাউরুতে অবস্থানকারী অসুস্থ্য আশ্রয়প্রার্থীরা।
Senator Jacqui Lambie during debate on the Medevac Bill in the Senate chamber at Parliament House in Canberra. Source: AAP
চিকিৎসার জন্য শরণার্থীরা অস্ট্রেলিয়ায় আসতে পারবে কিনা সে বিষয়ে ডাক্তারদের মতামত প্রদান করা বন্ধের জন্য সরকারের পক্ষে ভোট দেন ইনডিপেন্ডেন্ট সিনেটর জ্যাকি ল্যাম্বি।