Dr.Ruhul Abid Source: The Daily Star
তার অলাভজনক সংস্থা হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল (হায়েফা) বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিতদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে আসছে। গত তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৩০ হাজার পোশাক শ্রমিককে বিনামূল্যে চিকিত্সা সেবা দিয়েছে। এছাড়াও সংস্থাটি প্রায় নয় হাজার সুবিধাবঞ্চিত নারী ও পোশাক শ্রমিকের জরায়ু ক্যানসার স্ক্রিনিং ও চিকিৎসা সেবা এবং কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেড় হাজারেরও বেশি মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছে।
বর্তমানে সংস্থাটি দুটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় দক্ষতা তৈরির প্রশিক্ষণ দিচ্ছে।
২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধ্বসের পর ডা. আবিদ সারাদেশে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার তাগিদ থেকে ‘হায়েফা’ প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি ২০১৩ সালে হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের ডা. রোজমেরি দুদার সঙ্গে ঢাকা, গাজীপুর ও শ্রীপুরের তিনটি কারখানায় পোশাক শ্রমিকদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন।
ঢাকার দৈনিক সমকালকে ডা. রুহুল আবিদ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাঁদের দুটি মেডিকেল সেন্টার রয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পে কভিড-১৯ সহ সব ধরনের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের ২২ জন ডাক্তার রয়েছেন। ক্যাম্পের দুটি মেডিকেল সেন্টারে সব মিলিয়ে ১২ থেকে ১৬ জন কাজ করছেন সরাসরি। আর যেহেতু ইলেকট্রনিক মেডিকেল সিস্টেম রয়েছে, তার জন্য একটি আইটি টিম রয়েছে। সেখানে বাকিরা কাজ করছেন।
রোহিঙ্গারা যেহেতু অনেকটা ভাসমান মানুষের মতো, তাই ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড অনেক সহযোগিতা করছে। এই কাজে প্রধান সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া আরও কয়েকটি সংগঠন সহযোগিতা করছে। এর মধ্যে রয়েছে- ডব্লিউএইচও, আইওএম এবং একটি কো-অর্ডিনেশন সেল।ডা. আবিদ এবং তাঁর সংস্থা জনকল্যাণমূলক কাজের জন্য ২০১৮ সালে গ্র্যান্ড চ্যালেঞ্জস কানাডার 'স্টারস ইন গ্লোবাল হেলথ' পুরষ্কার অর্জন করে।
ঢাকায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা ডা. রুহুল আবিদের পৈতৃক নিবাস পাবনার সুজানগরে মামাবাড়ি রাজবাড়ী জেলার পাংশায়।