হাইলাইটস
- ডিপেন্ডেন্ট হিসেবে যারা ইতোপূর্বে ৪৮৫ ভিসা লাভ করেছেন, তারা প্রাথমিক আবেদনকারী হিসেবে এই ভিসার জন্য আর আবেদন করতে পারবেন না।
- বিদ্যমান ৪৮৫ ভিসাধারী ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এই পরিবর্তনকে “জঘন্য এবং হতাশাব্যঞ্জক” বলে আখ্যায়িত করেছেন।
- এ বিষয়টি আরও পরিষ্কার করার জন্য ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্স-এর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মাইগ্রেশন এজেন্টরা।
এর আগে, এই ভিসার শর্ত অনুসারে ৪৮৫ সাবক্লাসের প্রাথমিক ভিসাধারী ব্যক্তি আরেকটি ৪৮৫ ভিসার জন্য প্রাথমিক বা মূল আবেদনকারী হিসেবে আবেদন করতে পারতেন না; তবে, তার ডিপেন্ডেন্ট বা নির্ভরশীল ব্যক্তিরা পারতেন।
সাম্প্রতিক পরিবর্তনের মাধ্যমে প্রাথমিক আবেদনকারী হিসেবে সবাইকে (প্রাথমিক এবং নির্ভরশীল) পুনরায় আবেদন করার ক্ষেত্রে বাধা আরোপ করা হয়েছে, বলেন মেলবোর্ন-ভিত্তিক মাইগ্রেশন এজেন্ট রনবীর সিং।
তিনি বলেন,
“এই পরিবর্তনের বড় প্রভাব পড়বে সে-সব দম্পতির ক্ষেত্রে, যাদের ডিপেন্ডেন্ট (নির্ভরশীল) আবেদনকারী সবে মাত্র পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ায় আরও কিছু দিন থাকার উদ্দেশ্যে মূল আবেদনকারী হিসেবে ৪৮৫ ভিসার জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করছেন।”
‘জঘন্য এবং হতাশাব্যঞ্জক’
বিদ্যমান ভিসাধারীদের মধ্যে অনেকেই এবং সম্ভাব্য টেম্পোরারি গ্রাজুয়েট ভিসা-আবেদনকারীরা যারা তাদের ডিগ্রি সম্পন্ন করার পর এই ভিসার মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়ায় তাদের অবস্থান দীর্ঘায়িত করার চিন্তাভাবনা করছিলেন, এই পরিবর্তনের ফলে তারা বিপাকে পড়েছেন।
Daljeet Singh Source: Supplied by Daljeet Singh
২৮ বছর বয়সী এই নারী ভারতের উত্তরাঞ্চলের হরিয়ানায় আটকে পড়েছেন এবং তার স্বামীর ভিসা-আবেদনের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষায় আছেন। গত মাসের শুরুর দিকে এই পরিবর্তন করা হলে মিস্টার সিং এ সম্পর্কে বলেন, “আকস্মিক আঘাত”।
তিনি বিষণ্ন হয়ে বলেন যে,
“আমরা নিশ্চিত না যে, যে-সব আবেদন বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে সেগুলোও এই পরিবর্তনের ফলে প্রভাবিত হবে কিনা। কিন্তু, যদি সেগুলো প্রভাবিত হয়, তাহলে আমাদের মতো ব্যক্তিদের জন্য তা বড় ক্ষতির কারণ হবে।”
“আমরা অস্ট্রেলিয়া বেছে নিয়েছি পোস্ট-স্টাডি ওয়ার্ক ভিসার সুবিধার জন্য। মূল আবেদনকারী হিসেবে আমার নিজের ৪৮৫ ভিসার মেয়াদ প্রায় শেষ হওয়ার পথে। আমি পরিকল্পনা করেছিলাম যে, আমি আমার স্ত্রীর ৪৮৫ ভিসা-আবেদনে ডিপেন্ডেন্ট হবো এবং সেই সময়টিতে আমি আমার প্রফেশনাল ইয়ার সম্পন্ন করবো। কিন্তু, এটি (এই পরিবর্তন) যদি আমাদের কেসটিকে প্রভাবিত করে, তাহলে এটি আমাদের ভবিষ্যৎকে বরবাদ করবে।”
অ্যাডিলেইড-ভিত্তিক মাইগ্রেশন এজেন্ট মার্ক গ্লেজব্রুক বলেন, এই পরিবর্তনটি এর চেয়ে অসময়োচিত হওয়া সম্ভব ছিল না।
তিনি বলেন, সরকারের উচিত, এর স্থলে নীতি নির্ধারণ নিয়ে কাজ করা, যেন ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা তাদের পড়াশোনার গন্তব্যস্থল হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে বেছে নেয়। বর্তমানে কানাডা ও কোভিড-১৯ কবলিত যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এই ক্ষেত্রে কঠোর প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
তিনি বলেন,
“সম্ভাব্য এবং বিদ্যমান শিক্ষার্থীদেরকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত রাখার জন্য সরকারের যখন নীতিমালা প্রবর্তন করা উচিত, তখন তারা একটি পরিবর্তন সাধন করলো, যা তাদেরকে (শিক্ষার্থীদেরকে) এখানে আসার ক্ষেত্রে বিরত ও নিরুৎসাহিত করবে।”
“একদিকে, আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী এবং ৪৮৫ ভিসাধারীদেরকে তারা প্রণোদনা দিচ্ছে এবং অপরদিকে, তারা এমন একটি নীতিমালা প্রবর্তন করেছে, যা পুরোপুরিভাবেই তাদের পূর্ববর্তী অবস্থানের বিপরীত।”
‘আমাদের আরও ব্যাখ্যা প্রয়োজন’
মেলবোর্ন-ভিত্তিক মাইগ্রেশন এজেন্ট নভোজোৎ কৈলা বলেন, এই পরিবর্তনের বিষয়টি যথাযথভাবে অবহিত করা হয় নি।
তিনি বলেন,
“ডিপার্টমেন্টের দিক থেকে খুব বড় ধরনের যোগাযোগ-ব্যবধান রয়েছে। আমরা এই বিষয়ে ব্যাখ্যা পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি। তবে, এটি যদি নিঃসন্দেহে কার্যকরী হয় (যেভাবে এ সম্পর্কে বলা হয়েছে), তাহলে বিদ্যমান এবং সম্ভাব্য ভিসাধারীদের ওপরে অবধারিতভাবেই এর গুরুতর প্রভাব পড়বে।”
বিস্তারিত তথ্যের জন্য এসবিএস পাঞ্জাবীর পক্ষ থেকে ডিপার্টমেন্ট অফ হোম অ্যাফেয়ার্সের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এখানে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তা সাধারণ তথ্য এবং কোনো সুনির্দিষ্ট পরামর্শ নয়। কেউ যদি আরও প্রাসঙ্গিক এবং সুনির্দিষ্ট তথ্য পেতে চান, তাহলে একজন রেজিস্টার্ড মাইগ্রেশন এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন কিংবা আরো তথ্যের জন্য ভিজিট করুন: