শুভ মহালয়া উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। পাঁচ দিনের এই উৎসবের প্রাক্কালে গত শনিবার ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়ায় সনাতন সম্প্রদায় চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শুরু হলো দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনা। অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তি প্রতিষ্ঠায় মর্ত্যে আসবেন দেবী দুর্গা।
২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার মহালয়া উপলক্ষে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাসহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলোয় ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়েছে। চণ্ডীপাঠ ছাড়াও মঙ্গলঘট স্থাপন, চণ্ডীপূজা এবং ঢাক-কাঁসা ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীকে মর্ত্যে আহ্বান জানানো হয়। ভক্তিমূলক সঙ্গীত, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় আলোচনাসভা ছিল দিনের আনুষ্ঠানিকতার অংশ। অনেক ভক্তই তাদের মৃত আত্মীয়পরিজন ও পূর্বপুরুষদের আত্মার সদগতি প্রার্থনা করে তর্পণ করেন।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মাধ্যমে শুরু হয়েছে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় হবে দেবী দুর্গার বোধন। ৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় দুর্গাদেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে পূজার মূল আচার-অনুষ্ঠান শুরু হবে।
৫ অক্টোবর সকালে নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের পর শুরু হবে মহাসপ্তমী পূজা। ৬ অক্টোবর মহাঅষ্টমী পূজা, সেদিন হবে সন্ধিপূজা। রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠে হবে কুমারী পূজা।
৭ অক্টোবর সকাল বিহিত পূজার মাধ্যমে হবে মহানবমী পূজা। ৮ অক্টোবর সকালে দর্পন বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে সনাতন সম্প্রদায়ের পাঁচ দিনের সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় উৎসব। সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকা মতে, জগতের মঙ্গল কামনায় দেবী দুর্গা এবার ঘোটকে (ঘোড়া) চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে আসবেন। দেবী বিদায়ও নেবেন ঘোটকে চড়ে।
পূজার আয়োজন নিয়ে সোমবার সকালে রাজধানী ঢাকার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর সারা দেশে ৩১ হাজার ৩৯৮ টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা হবে, যা গতবারের চেয়ে ৪৮৩ টি বেশি। রাজধানীতে ২৩৬ টিসহ ঢাকায় ৭ হাজার ২৭১টি মণ্ডপে এবার পূজা হবে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামে ৪ হাজার ৪৫৬ টি, সিলেটে ২ হাজার ৫৪৫ টি, খুলনায় ৪ হাজার ৯৩৬ টি, রাজশাহীতে ৩ হাজার ৫১২ টি, রংপুরে ৫ হাজার ৩০৫ টি, বরিশালে ১ হাজার ৭৪১ টি, ময়মনসিংহে ১ হাজার ৬৩২ টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা এবার অনুষ্ঠিত হবে।
READ MORE
মেলবোর্নে পালিত হলো দুর্গা পূজা