বাংলাদেশে বিদেশ থেকে বিশেষ করে ইতালি থেকে আসা অনেকে এই উপজেলার বাসিন্দা বলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের কথায় ইঙ্গিত মিলেছে।বৈশ্বিক মহামারীতে রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ রোধে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার উপর বাংলাদেশ সরকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে।
কিন্তু অনেকেই তা না মানায় বিদেশ ফেরত এই ব্যক্তিদের মাধ্যমেই দেশে কভিড-১৯ রোগের বিস্তার ঘটেছে বলে আইইডিসিআরের তথ্য।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী রূপ ধারণ করায় বিদেশফেরতদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। এই আদেশ অমান্য করায় গত কয়েকদিনে বিভিন্ন জেলায় জরিমানা করা হয়েছে অনেক প্রবাসীকে।
বাংলাদেশে নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় সতর্কতা ও কড়াকড়ির মাত্রা আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, যার অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের ছুটি বাতিলের পাশাপাশি সব ধরনের সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান সীমিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে।বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে থেকে শিবচর উপজেলার বাজারগুলোর মানুষের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য সকল দোকান বন্ধ থাকবে।গণজমায়েতের স্থান, বিয়ে, মাহফিল, রাজনৈতিক সমাবেশ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে এবং সব ধরনের গণপরিবহন যান চলাচল বন্ধ থাকবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামান জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান।
তবে এই ব্যাবস্থা লকডাউন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ।এদিকে মাদারীপুর জেলায় ২১২ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও দুই জনকে ঢাকার আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম জায়গা যেখানে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য এমন ব্যবস্থা নেয়া হলো।
মাদারীপুর ও শরিয়তপুর জেলার বহু মানুষ ইতালিসহ ইউরোপের প্রবাসী। ইতালিতে করোনাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ার পর অনেকে বাংলাদেশে ফিরেছেন।দেশে ফিরেও তারা হোম কোয়ারেন্টিনের শর্ত না মেনে অবাধে চলাফেরা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এরই মধ্যে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশে কভিড-১৯ রোগী ধরা পড়ার পর এই প্রথম কোনো উপজেলায় সব কিছু বন্ধ করে দেওয়ার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।