বুশফায়ারের ধোঁয়ার কারণে বুধবার সকালে ক্যানবেরায় বায়ু-দূষণ এতোটাই বেড়ে যায় যে এটি এক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ স্থান দখল করে।
বৈশ্বিকভাবে বায়ু-দূষণ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে IQAir AirVisual ওয়েবসাইটটি। তাদের তালিকায় অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরা এখন ভারতের কলকাতা এবং দিল্লীকেও ছাড়িয়ে গেছে।বুধবার সকাল দশটায় ক্যানবেরার মনাশ এয়ার কোয়ালিটি স্টেশন ৪,০৯১ ইনডেক্স র্যাঙ্কিং এ উপনীত হয়। ঝুঁকিপূর্ণ পর্যায়ের চেয়ে এটি প্রায় ২০ গুণ বেশি।
A screenshot of the IQAir AirVisual rankings at 9:30am on Wednesday. Source: Twitter - Samantha Maiden
ক্যানবেরা টাইমস অনুসারে, এর আগে ২০১২ থেকে ২০১৯ এর মধ্যে রেটিংয়ের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল ১,৪২০। এটি সংগ্রহ করা হয় গত সোমবার।
লাগার কারণে এই ঘন কাল ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
একটি স্টেটমেন্টে এসিটি সরকার বলেছে, “ ঘরের বাইরে চলাফেরা ও কার্যক্রম এড়িয়ে চলতে ক্যানবেরার সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।”
ধোঁয়ার বিষয়ে যারা সংবেদনশীল তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে “যেখানে সম্ভব দরোজা-জানালা বন্ধ করে ঘরেই অবস্থান করতে”।
“এসিটির সীমান্তবর্তী অঞ্চলের আগুন থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া অত্যন্ত ঘন এবং আরও কয়েকদিন এটি থাকবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, ফলে অবস্থা আরও গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে।”
সামাজিক-যোগাযোগ-মাধ্যমে ধোঁয়ার বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ধোঁয়ার কারণে ক্যানবেরায় নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। খেলোয়াড়রা ভালভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করায় ২২ ডিসেম্বর একটি বিগ ব্যাশ ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
নিউ সাউথ ওয়েলসের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১০০টি আগুন এখনও জ্বলছে। এদিকে এ সপ্তাহে সিডনিতে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ হওয়ার কথা রয়েছে। অবস্থার ভাল পরিবর্তন না হলে এটিও এর ফলে প্রভাবিত হবে বলা যায়।নিউ জিল্যান্ডের পেস বোলার নেইল ওয়াগনার গত মঙ্গলবার বলেন, “ব্যাপকভাবে দেখলে ... যা ঘটছে এটি দুঃখজনক”।
Smoke at the SCG earlier in December. Source: AAP
“এটি একটি টেস্ট ম্যাচ মাত্র। এটি যদি প্রভাবিত হয় ... আমরা একে মোকাবেলা করবো আমাদের সর্বোচ্চ সামর্থ্য দিয়ে।”
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, শনিবার সিডনির পশ্চিম অঞ্চলে প্রায় ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা দেখা যাবে এবং বাতাসের মানও খারাপ থাকবে।
অস্ট্রেলিয়ার পূর্ব-উপকূল থেকে আগত ধোঁয়া তাসমান অঞ্চলের উপর দিয়ে নিউ জিল্যান্ডেও যাচ্ছে। নিউ জিল্যান্ডের অধিবাসীরা টুইট করে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
Additional reporting: AAP