বাংলা ছবির জনপ্রিয় অভিনেতা চিরঞ্জিৎ আর ভোটে লডতে চান না। বারাসতের তৃণমূল বিধায়ক ইতিমধ্যেই দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ওই বিষয়ে অব্যাহতি চেয়েছেন। চিরঞ্জিতের কথায়, অনেক বয়স হয়ে গিয়েছে। এবার একটু বিশ্রাম নিতে চান। দলনেত্রীকে বলেছেন, এবার অব্যাহতি দিন। অভিনেতা চিরঞ্জিৎ নিজের জগতে ফিরে যেতে চান। তবে একইসঙ্গে টলিউডের অভিনেতা জানিয়েছেন,তৃণমূলের হয়ে ভোটে না লড়লেও তিনি অন্য কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন না। এমনকি, তৃণমূল ছেড়ে দিলেও তিনি অন্য কোনও দলে যাবেন না।
২০১১ সালে বারাসত থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোট লড়ে বিধায়ক হয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ। একদা দূরদর্শনের সংবাদপাঠক দীপক চক্রবর্তী বাংলা ছবিতে চিরঞ্জিৎ নামেই আবির্ভূত হয়েছিলেন। দক্ষ চিত্রশিল্পী শৈল চক্রবর্তীর পুত্র চিরঞ্জিৎ নিজেও ভাল ছবি আঁকতে পারেন। বর্ষীয়ান অভিনেতার কথায়,অনেকদিন ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুণগ্রাহী ছিলেন। রাজনীতিতে আসার আগে থেকেই। মমতার সঙ্গে চিরঞ্জিতের নিয়মিত যোগাযোগও ছিল।
এর আগে সরস্বতী পুজোর দিন টলিউডের অভিনেতা প্রসেনজিতের দক্ষিণ কলকাতার বাড়িতে গিয়ে সস্ত্রীক তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বিজেপি-র সংগঠক এবং অমিত শাহকে নিয়ে বইয়ের লেখক, অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। উপহার দিয়েছেন অমিতকে নিয়ে লেখা নিজের বইও। একান্তে দু’জনের কথা হয়েছে বেশ কিছুক্ষণ। তার থেকেই ছড়িয়েছে জল্পনা। টলিউডের বুম্বাদা, প্ৰসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য সমস্ত জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে জানিয়েছেন বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন না। রাজনীতিতেও যোগ দিচ্ছেন না। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করেই প্রকাশ্যে এসেছিল সঙ্ঘ পরিবারের প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে বলিউডের বাঙালি দাদা, মিঠুন চক্রবর্তীর সাক্ষাৎ। মিঠুনের মুম্বইয়ের বাড়িতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ রুদ্ধদ্বার বৈঠক সারেন ভাগবত। তবে বৈঠকের বিষয়ে আলোকপাত করেনি কোনও পক্ষই। মিঠুন শুধু বলেছেন,তাঁর সঙ্গে ভাগবতের একটা আধ্যাত্মিক সংযোগ রয়েছে। পাশাপাশিই তিনি জানিয়েছেন, এখনও ওই সাক্ষাতে কোনও রাজনৈতিক জল্পনার অবকাশ নেই। সেই সরস্বতী পুজোর সন্ধ্যাতেই আরও এক বাঙালি সুপারস্টারের বাড়িতে বিজেপি-র প্রতিনিধি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা ধরনের উৎসুক জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।অন্যদিকে, ভোট ঘোষণার সময় যতই এগোচ্ছে, ততই সরগরম টলিপাড়া। কৌশানী মুখোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, রণিতা দাস, সৌপ্তিক চক্রবর্তী, শ্রীতমা ভট্টাচার্যর মতো পর্দার চেনা অভিনেতারা ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। আবার তৃণমূলকে বিদায় জানিয়ে বিজেপির হাত ধরে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। যোগ দিয়েছেন ছোটপর্দার পরিচিত মুখ কৌশিক রায়ও। শাসক দলের মতো তারকাদের সামনে রেখেই প্রচারে ট্রাম্প কার্ড ফেলতে চাইছে বিজেপিও। আর সেই লক্ষ্যেই আরও একধাপ এগোল তারা। বিজেপিতে যোগ দিয়ে যশ বলেছেন, রাজনীতি মানেই খারাপ কিছু নয়। আমার মনে হয়, পরিবর্তন শুধু চাইলেই হয় না, মুখে পরিবর্তনের কথা বললেই হয় না। বৃহত্তর স্বার্থে ময়দানে নেমে কাজ করতে হয়। কোনও পদের কথা চিন্তা করে যোগ দিই নি। বিজেপির সঙ্গে আমার আদর্শ মেলে। তাই এই দলের হয়ে প্রাণ খুলে কাজ করতে পারব। যুবসমাজের সঙ্গে কাজ করতে চাই আমি।
সরস্বতী পুজোর দিন টলিউডের অভিনেতা প্রসেনজিত চট্টোপাধ্যায়ের বাসায় বিজেপি নেতা, লেখক ড. অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়। Source: Partha Mukhopaddhyay
বাংলা টেলিভিশন মাধ্যমে নিজের অভিনয় সফর শুরু করেছিলেন যশ দাশগুপ্ত। তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ‘বোঝে না সে বোঝে না’ ধারাবাহিকের অরণ্য চরিত্রে। বিরসা দাশগুপ্ত পরিচালিত গ্যাংস্টার ছবির মাধ্যমে টলিউডে ডেবিউ করেন অভিনেতা। গত বছর আবার মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানের সঙ্গে ছবিতে অভিনয় করেন। তারপর থেকেই নুসরতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন নিয়ে সরগরম টলিপাড়া। কিছুদিন আগে আবার ডিকশনারি’র প্রিমিয়ারেও একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল দুই তারকাকে। যদিও যশের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছিলেন নুসরত। তবে দু’জনের বন্ধুত্ব বেশ গভীর বলেই দাবি করেন অনেকে।যশের দাবি, বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার বিষয়ে তাঁর নুসরতের সঙ্গে কোনও কথা হয় নি। তাঁর কথায়, নুসরত একটা পার্টিতে আছে। আমি একটা পার্টিতে আছি, নুসরত আমার বন্ধু। কিন্তু ওর-আমার বন্ধুত্বটা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে। একইসঙ্গে যশ দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, দিদি,মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-কে আমি এখনও ভালবাসি,শ্রদ্ধা করি।বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার আগেও আমি ওঁকে বার্তা পাঠিয়ে আশীর্বাদ চেয়েছি। ওঁকে আমার প্রণাম।