সিডনী সফরে এসে, গত শনিবার এক নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, "অতি শীগ্র বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে। এটা অলরেডি প্রস্তুত আছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এটা হয়ে যাবে।"
তবে আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের কেপ ক্যানাভেরাল এলাকায় প্রতিকূল আবহাওয়া বিরাজ করবে। মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়াসহ কয়েক দফা বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রতিকূল এ আবহাওয়ায় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের দিন আবারো পিছিয়ে যাবে কিনা এখনো জানায়নি স্পেসএক্স।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের পূর্ব নির্ধারিত দিন ৪ মে’র পরদিন ৫ মে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকতে পারে এমন শঙ্কায় ৭ মে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ দিন নির্ধারণ করে স্পেস এক্স।
স্যাটেলাইটটি নির্মিত হয়েছে ফ্রান্সের থ্যালেস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে। নির্মাণ, পরীক্ষা, পর্যালোচনা ও হস্তান্তর শেষে বিশেষ কার্গো বিমানে সেটি কেপ ক্যানাভেরালের লঞ্চ সাইটে পাঠানো হয়। এর মধ্যেই তিন দশমিক ৭ টন ওজনের স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণে শুরু হয়ে গেছে ‘লঞ্চ ক্যাম্পেইন‘। গত ৩০ মার্চ স্যাটেলাইটটি ফ্লোরিডার লঞ্চিং প্যাডে পৌঁছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দেয়া হবে। স্যাটেলাইটটির নিয়ন্ত্রণ ও তদারক করার জন্য গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ায় গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৯০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে দেয়া হচ্ছে ১ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকা। আর ঋণ হিসেবে এইচএসবিসি ব্যাংক বাকি ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা দিচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বিশ্বের ৫৭তম স্যাটেলাইট ক্ষমতাধর দেশ হিসেবে আবির্ভাব ঘটবে বাংলাদেশের।