বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে সহযোগিতামূলক ঐকমত্য রয়েছে, তার সুযোগ নিয়ে দুই দেশই নিজ নিজ অর্থনীতিকে আরও সংহত করতে পারে।ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন, তার সরকার ‘প্রতিবেশীর অগ্রাধিকার’ নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে এবং সেই নীতির ‘এক নম্বর স্তম্ভ’ হচ্ছে বাংলাদেশ।
হাইলাইটস
- বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যে সহযোগিতামূলক ঐকমত্য রয়েছে, তার সুযোগ নিয়ে দুই দেশই নিজ নিজ অর্থনীতিকে আরও সংহত করতে পারে - শেখ হাসিনা।
- ‘প্রতিবেশীর অগ্রাধিকার’ নীতিতে পরিচালিত হচ্ছে এবং সেই নীতির ‘এক নম্বর স্তম্ভ’ হচ্ছে বাংলাদেশ - নরেন্দ্র মোদী।
এই বৈঠকের আগে ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের মধ্যে জ্বালানি, সামাজিক উন্নয়ন, কৃষিসহ সাতটি বিষয়ে সহযোগিতার লক্ষ্যে সাতটি কাঠামো চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
ভার্চুয়াল বৈঠকে ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ীর মধ্যে রেল করিডোরেরও উদ্বোধন করেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় ওই রেলপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনে তিস্তা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি করা এবং সীমান্ত হত্যা বন্ধে আবারও বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে ভারত সরকার।
শীর্ষ সম্মেলনের যৌথ ঘোষণায় এ বিষয়ে বলা হয়, ২০১১ সালে দুইপক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে তিস্তার পানি বণ্টনে দ্রুত সময়ে অন্তর্বর্তী চুক্তির বিষয়টি তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিস্তা সম্পর্কে আলোচনা প্রসঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “এটা নিয়ে ভারত সরকার আগেই রাজি হয়ে গিয়েছে। সব কিছুই প্রস্তুত, কিন্তু বাস্তবায়ন হয় না। এটা আমরা আবার তুলেছি। বলেছি, আমরা এটা তুলে আপনাদের লজ্জিত করতে চাই না, তবে এটা বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। একই সাথে আমরা বাকি আরও ছয়টা নদীর কথা জিজ্ঞেস করেছি। তিস্তা নিয়ে বলেছেন যে, তারা প্রত্যেক পক্ষকে সম্পৃক্ত করার জন্য আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন।”
ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, “দুই প্রধানমন্ত্রী তিস্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দিক থেকে এ ইস্যু সমাধানের উপর গুরুত্ব দেন। এবং আমাদের দিক থেকে প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করা হয়েছে।”
যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, “অভিন্ন ছয় নদীর অর্থাৎ মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতি, ধরলা এবং দুধকুমার নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী চুক্তির বিষয়ে ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি চূড়ান্ত করার বিষয় তুলে ধরেছেন দুই নেতা।”
দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে পররাষ্ট্রনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচনা করে ভারত। ভারতের কাছে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বাংলাদেশের মতো এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
বিশ্বের পাঁচ বৃহৎ উদীয়মান অর্থনীতির জোট ব্রিকসের উদ্যোগে পাঁচ বছর আগে গড়া নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে (এনডিবি) যুক্ত হতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।