অস্ট্রেলিয়ান ওই নারী পর্যটক অন অ্যারাইভাল ভিসায় গত ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশে যান ।শনিবার অনলাইনে তিনি কটেজে বুকিং দিয়ে ১৫ ডিসেম্বর তিনি কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন গুড ভাইব কটেজে ওঠেন। অভিযোগে বলা হয় আনুমানিক রাত সাড়ে ১২টার দিকে দুই যুবক তার কক্ষে প্রবেশ করে। যুবকরা জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং এক সময়ে মুখ চেপে ধরে ওই নারী পর্যটককে ধর্ষণের চেষ্টা করে।এ সময় ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে ওই নারী চিৎকার দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পরে ওই নারী পুলিশের সহযোগিতা চাইলে পুলিশ সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ।বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের প্রতিনিধিদের সহায়তায় তাকে একটি হোটেলে নেয়া হয় এবং তার কক্সবাজার ছেড়ে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে বলে জানানো হয়। ।পুলিশ কটেজের মালিক শামীমের এক ভাই ও নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করেছে । তিনি বলেন এ ঘটনায় ওই রিসোর্টের নাইটগার্ড ও তার একজন বন্ধুকে আটক করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তারা সেখানে চুরি করার জন্য প্রবেশ করেছিল। এরপর ওই নারীর মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। রাতেই পুলিশ গফুরকে আটক করেছে। তবে এখনও পলাতক রয়েছে বেলাল।
এ ঘটনায় পর ওই নারী পর্যটক অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুলিশ ও হাইকমিশনের সঙ্গে কথা বলেছে। রামু থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। অস্ট্রেলিয়ান ওই পর্যটকের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করার ভিসা রয়েছে । রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বিবিসিকে জানান, এ ঘটনায় দু ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে এবং মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মিস্টার খায়ের বিবিসিকে বলেন ১৫ই ডিসেম্বর দিবাগত রাতে স্বল্প পরিচিত একটি রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন ওই নারী।তিনি বলেন, রিসোর্টটি খুব একটা পরিচিত নয়। লোকেশনও অনেক দুরে নিরিবিলি একটি জায়গায়। রিসোর্টের দুদিকে সাগর। আর পেছন দিকে অনেক দুরে একটি বাড়ি। এমন একটি রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন তিনি।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন জানান, যেহেতু ঘটনাটি পর্যটন সংশ্লিষ্ট, তাই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।