১৮ মে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারাল নির্বাচনকে ঘিরে গণমাধ্যমে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। নির্বাচনী সংবাদ ও মতামত বিশ্লেষণ এবং টিভি-রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বোদ্ধা ও বিশ্লেষকরা এ রকম অনেক শব্দ ও শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করেন, যেগুলোর অর্থ উদ্ধারে অনেক সময় পাঠক-শ্রোতা ও দর্শকেরা হিমশিম খান।
এ রকম সাতটি শব্দের মানে এখানে তুলে ধরা হলো:
Bellwether seat
যে নির্বাচনী আসন বা এলাকার ভোটাররা ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনে বিজয়ী দলের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে থাকে। গবেষক ও বিশ্লেষকরা এ ধরনের আসনের গতি-প্রকৃতি দেখে নির্বাচন সম্পর্কে আগাম ধারণা লাভ করার চেষ্টা করে থাকেন। এ রকম আসন সম্পর্কে ভিন্নভাবেও বলা যায়, যেমন, ওমুক আসনে যারা জিতবে তারাই সরকার গঠন করবে।
Blue ribbon seat
কোনো ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপদ আসন। এ আসনের ভোটাররা কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কিংবা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে দীর্ঘদিন ধরে ভোট দিয়ে থাকে।
Dog-whistle politics
যে রাজনৈতিক বার্তা সাধারণ জনগণের কাছে এক রকম অর্থ প্রকাশ করে কিন্তু উদ্দীষ্ট ছোট কোনো গোষ্ঠীর কাছে এর অতিরিক্ত ও ভিন্নরকম অর্থ প্রকাশ করে। এই শব্দগুচ্ছ দিয়ে সাধারণত কোনো নীতি বা নীতিমালার সমালোচনা করা হয়, বলা হয় বাহ্যত এই নীতিটি যৌক্তিক তবে আসলে এর দ্বারা রেডিক্যাল (প্রগতিবাদী, সমাজকাঠামোর আমূল পরিবর্তনে বিশ্বাসী) ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে এই কথাটি দিয়ে সাধারণত ইমিগ্রেশন এবং অ্যাসাইলাম সিকার পলিসির (অভিবাসন ও আশ্রয়প্রার্থিতার নীতিমালা) পেছনের উদ্দেশ্য ও কথাবার্তার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়।
Gerrymander
উদ্দেশ্যমূলকভাবে নির্বাচনী আসন এমনভাবে বিভক্ত করা যেন কোনো রাজনৈতিক দল বা সুনির্দিষ্ট ভোটাররা এর ফলে সুবিধা ভোগ করে।
Hustings
নির্বাচনী জনসভা যেখানে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে তাদের নীতিমালা তুলে ধরেন।
Kingmaker
নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল যখন সরকার গঠন করার মতো অবস্থায় থাকে না তখন সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের জন্য ছোট রাজনৈতিক দল কিংবা স্বতন্ত্র রাজনীতিবিদরা নিয়ামক ভূমিকা রাখেন। তারা সাধারণত অনেক বেশি গুরুত্ব ও ক্ষমতা ভোগ করে থাকেন।
Marginal seat
যে নির্বাচনী আসনে কোনো রাজনৈতিক দল সামান্য ব্যবধানে জয় লাভ করে আর আসনটি হারানোর ঝুঁকিতে থাকে।