জুলাইতে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাচ্ছে ১০০ বলের ক্রিকেট

বিশেষজ্ঞ মতামতের ঐক্যমত্য রয়েছে যে সাকসন বা নরম্যান সময়ে ক্রিকেট উদ্ভাবিত হতে পারে দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের ওয়েল্ডে বসবাসকারী শিশুদের দ্বারা । প্রাপ্তবয়স্কদের খেলা হিসাবে ক্রিকেট খেলার প্রথম উল্লেখটি ছিল ১৬১১ সালে এবং একই বছরে ক্রিকেটকে ছেলেদের খেলা হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছিল ।৫ দিন ব্যাপী ক্রিকেটের টেস্ট খেলা শুরু হয়। পরে আবার একটি সংক্ষিপ্ত আসর করা হয় একদিনের ৫০ ওভারের। সেটা কে কেটে ছেঁটে আরো সংক্ষিপ্ত করা হয় ২০ ওভারে। আর এখন পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে ১০০ বল ও ১০ ওভারের সংস্করণ। আগামী জুলাই মাসে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাচ্ছে ১০০ বলের ক্রিকেট।

100 cricket

Source: Getty image

ক্রিকেটের জন্মদাতা দেশ হিসাবে ধরা হয় ইংল্যান্ডকে। দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডে উদ্ভূত হওয়ার পরে, এটি ১৮ শতাব্দীতে ইংল্যান্ডের  জাতীয় খেলা হয়ে উঠে এবং ১৯ এবং ২০ শতকে বিশ্বব্যাপী বিকাশ লাভ করে। ১৮৪৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়েছে  এবং ১৮৭৭ সালে প্রথম টেস্ট ক্রিকেট শুরু হয়েছিল, এটাই ইতিহাস স্বীকৃত।তবে ইতিহাসবিদরা একটি উল্লেখে  পাওয়া যায় কিং এডওয়ার্ডের প্রথম এর সময়    ১৩০০ শতাব্দীতে  ক্রিকেটের মতোই কিছু একটা খেলা হতো কেন্টে।

ক্রিকেটের শুরু থেকেই চলছে এ খেলাটি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা। ক্রিকেটের জনক বলা হয় ইংল্যান্ডকে সেখানেই ক্রিকেট নিয়ে চলে প্রাথমিক দিকে এসব পরীক্ষা নিরীক্ষা। প্রথম লিখিত “ক্রিকেটের আইন” হয় ১৭৮৮ সালে । ওই আইনে  দুজন আম্পায়ারকে উপস্থিত ভদ্রলোকদের মধ্যে থেকে বেছে যারা  পুরোপুরি সমস্ত বিবাদ স্থির করবেন এবং খেলাটি পরিচালনা করবেন । স্টাম্পগুলি বাইশ ইঞ্চি উঁচুতে হবে এবং ছয় ইঞ্চি জুড়ে জামিন অবশ্যই তার হতে হবে। বল অবশ্যই পাঁচ থেকে ছয় আউন্স এর হতে হবে এবং স্ট্যাম্পের দুটি সেট বাইশ গজ দূরে থাকতে হবে তবে তখন  ব্যাটের আকার বা আকারের কোনও সীমা ছিল না।  বিশ্বের প্রথম ক্রিকেট ক্লাবটি ১৭৬০ এর দশকে হাম্বলডনে গঠিত হয়েছিল এবং মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ১৭৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

প্রায় তিন বছর ধরে পরিকল্পনার পর ১০০ বল ও ১০ ওভারের সংস্করণটি  জুলাইয়ে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডে শুরু হতে যাচ্ছে । নতুন এই ফরম্যাটের জন্য অবশ কিছু নতুন আইন করা হয়েছে। প্রতি ইনিংসে করা হবে ১০০ বল। ১০ বলের ওভার ।এতে বোলাররা টানা পাঁচ বা দশটি   বল ডেলিভারি করতে পারবে। ।প্রতিটি বোলার প্রতি খেলায় সর্বাধিক ২০ বল করতে পারে।প্রতিটি বোলিং পক্ষ আড়াই মিনিট অবধি কৌশলগত সময় পাবে । প্রতিটি দলের জন্য একটি ২৫ বলের পাওয়ারপ্লে থাকবে । ।পাওয়ারপ্লে চলাকালীন প্রাথমিক ৩০গজ বৃত্তের বাইরে দুটি ফিল্ডারকে অনুমতি দেওয়া হবে।

ক্রিকেটের নতুন ফরম্যাট  দি হান্ড্রেডের প্রতিটি ম্যাচ আড়াই ঘন্টা চলবে।  প্রতি ইনিংসে ১০০ বল করা হবে । যে দল  সর্বাধিক রান করবে  তারাই  বিজয়ে হবেন ।দশ বলে ওভার ধরা হবে এবং এর পরেই  ফিল্ডিং পার্শ্ব পরিবর্তন করা যাবে ।অধিনায়কের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বোলাররা টানা পাঁচ বা ১০ টি বল করতে পারবেন । প্রতিটি বোলার প্রতি খেলায় সর্বাধিক ২০টি করে বল করতে পারবেন। প্রতিটি বোলিং পক্ষ আড়াই মিনিট করে  কৌশলগত সময়সীমা পাবেন। এবং কোচ মাঠে আসতে  পারবেন  খেলোয়াড়দের  সাথে কৌশলগুলি নিয়ে আলোচনা করতে।প্রতিটি  দলে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড থাকবে। প্রতি স্কোয়াডে সর্বোচ্চ তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় অনুমোদিত। কমপক্ষে একজন ইংল্যান্ডের টেস্ট খেলোয়াড় থাকতে হবে প্রতিটি দলে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের এই টুর্নামেন্টে ৮ টি দল অংশ নিচ্ছে।


Share
Published 15 February 2020 1:01pm
By Abu Arefin
Presented by Abu Arefin

Share this with family and friends